ইংল্যান্ড দলের ওপেনার রোরি বার্নস যেমন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বুমরার মতো বোলারকে কী করে সামলানো যায়, তা তাঁর পক্ষে খুঁজে বার করা খুব কঠিন এক কাড।
তিনি বলেছেন, “প্রতিপক্ষ হিসেবে বুমরা খুব বিপজ্জনক। ওর বোলিং অ্যাকশন এবং পপি ক্রিজের যে কোণগুলোকে ব্যবহার করে ও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে, তাকে সামলানো মোটেও সহজ কাজ নয়। আমি ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ দেখেছি।
সেখানেও দেখেছি, ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের রীতিমতো চাপে থাকতে হয়েছিল বুমরার বিরুদ্ধে। এ বার ও নিজের দেশের মাঠে খেলতে নামবে। আমি তো মনে করি, ওর বোলিংয়ের বিরুদ্ধে খেলা আমার কাছে বড় পরীক্ষা হতে চলেছে।”
ইংল্যান্ড দলের দুই নতুন স্পিনার ডম বেস এবং জ্যাক লিচের থেকে খুব বেশি প্রত্যাশা না রাখারই পরামর্শ দিয়েছেন বার্নস। তিনি বলেছেন, “ওরা তো সবেমাত্র টেস্ট ম্যাচ খেলা শুরু করেছে। শ্রীলঙ্কা সফরে দুজনেই খুব ভাল বোলিং করেছে। তবে ভারতের উইকেটে খেলে সফল হওয়া সম্পূর্ণ অন্য ব্যাপার।
ওদের অনেক কঠিন পরীক্ষার মুখেই পড়তে হবে। তাই আমি মনে করি, ওদের উপরে অহেতুক চাপ তৈরি করা ঠিক হবে না। বরং ওদের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হোক, এই ধরনের পিচে কেমন বোলিং করা উচিত, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে।”
এ দিকে, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বর্ণবিদ্বেষে জর্জরিত, এমনই জানিয়েছে একটি সমীক্ষা। ছেলে এবং মেয়েদের ক্রিকেটে বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের শিকার হয়েছেন এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বেন স্টোকসদের বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী শিক্ষার পাঠ দিতে চায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
পেশাদার ক্রিকেটারদের সমিতির পক্ষ থেকে একটি সমীক্ষা করা হয়। সেই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ৬০০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৪৫ শতাংশ জানিয়েছেন সতীর্থদের থেকেই শুনেছেন বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য।
৩০ শতাংশ জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণ করা হয়েছে তাঁদের, বাকি ১০ শতাংশ জানিয়েছেন তাঁদের বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণ করেছেন কোচরা।