এখানে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মজুত থাকলেও তা নেওয়ার লোক নেই। প্রথম দফায় যাদের টিকা দেওয়ার কথা ছিল তারা অনেকেই টিকা নেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। এক সমীক্ষার রিপোর্টে এই তথ্য জানা গিয়েছে।
ওই সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, প্রথম পর্যায়ে ভারতে করোনা যোদ্ধাদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু এই যোদ্ধাদের অনেকেই টিকা নিতে নারাজ। তাঁরা ভ্যাকসিনের সুরক্ষার সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে টিকা নিতে চাইছেন না।
এমনও দেখা গিয়েছে যে, বহু স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন না নিয়েও টিকা নেওয়ার মিথ্যা দাবি করেছেন। পটনা এইমসের চিকিৎসক বিনোদ কুমারের দাবি, অন্তত ৪০ শতাংশ চিকিৎসক এখনই টিকা নিতে রাজি হচ্ছেন না। তাঁরা ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা সম্পর্কে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হতে চাইছেন।
দেশে এমনিতেই প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা বেশ কম। তার মধ্যে একটা বড় অংশ টিকা নিতে আগ্রহ না দেখানোয় বিপদ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের পরিকল্পনা ছিল, ২০২১-এর জুলাইয়ের মধ্যে অন্তত ৩০ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হবে।
১৬ জানুয়ারি টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকে যেভাবে এগোচ্ছে তাতে এই লক্ষ্য পূরণ হবে বলে মনে হচ্ছে না। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দেশে এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে। কিন্তু তার চাহিদা নেই।
দেশে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। এমনকি টিকা নিয়ে দুইজনের মৃত্যুও ঘটেছে। যদিও ওই মৃত্যু টিকা নেওয়ার কারণে হয়েছে এমনটা প্রমাণ হয়নি। কিন্তু ওই মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতে টিকা নিয়ে মানুষের মনে ভীতি আরও বেড়েছে। সে কারণেই টিকা নিতে রাজি হচ্ছেন না অনেকেই।