অনলাইন ডেস্ক, ২৮ জানুয়ারি।।শাশুড়ির সঙ্গে নিত্যদিনের অশান্তি। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ির সঙ্গে বনিবনা হত না বউমার। নিত্যদিন শাশুড়ি ও বউমার মধ্যে অশান্তি হত। বউমার বাপের বাড়ি নিয়ে খোঁটা দিতেন শাশুড়ি ধরমশীলা দেবী। শাশুড়ির এহেন আচরণের বদলা নিতে তাঁকে কুপিয়ে খুন করল বউমা ললিতা দেবী।
খুন করেও শান্তি পায়নি ললিতা। শাশুড়ির প্রতি রাগ মেটাতে তাঁর একটা চোখ খুবলে তুলে নেয় সে। পরে ললিতা নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আপাতত গুরুতর জখম অবস্থায় ললিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিহারের পটনার পরসা বাজারে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
পটনা সদরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ সিং জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর বিয়ে হয়েছিল ললিতার। কিন্তু তাঁর কোন সন্তান ছিল না। সন্তান না হওয়ার কারণেই শাশুড়ি ও বউমার মধ্যে প্রায় নিয়মিত ঝামেলা হত। সে সময় ললিতাকে তাঁর বাপের বাড়ি নিয়ে রীতিমতো খোঁচা দিতেন শাশুড়ি ধরমশীলা।
সেই অশান্তি চলাকালীন ললিতা শাশুড়িকে কুপিয়ে খুন করে। পরে সে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, ললিতা সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, ধরমশীলার ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ললিতার। বিয়ের পর বেশ কয়েক বছর গড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু ললিতার কোনও ছেলেমেয়ে হয়নি। এনিয়ে শাশুড়ি ও বউমার মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই ঝামেলা-অশান্তি হত।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ শুরু হয় শাশুড়ি ও বৌমার মধ্যে ঝগড়া। সে সময় ললিতার স্বামী বাড়িতে ছিল না। অশান্তি চলাকালীন শাশুড়ির মাথা একটি বড় পাথর দিয়ে থেঁতলে দেয় ললিতা। এরপর কয়েকবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাশুড়িকে কোপায় সে। শেষ পর্যন্ত একটি চোখ খুবলে তুলে নেয় ললিতা।
এরপর সে নিজের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ধরমশীলার চিৎকার শুনে আসে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে ললিতা ও ধরমশীলা দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করে। ধরমশীলা কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান। অন্যদিকে অগ্নিদগ্ধ ললিতা এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।