তবে এই টিকার বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এমনকি, টিকা নিয়ে মৃত্যুর মত দুঃখজনক ঘটনাও ঘটেছে। এটা ঘটনা যে, কিছু টিকা সবসময়ই কিছু মানুষের শরীরে প্রযোজ্য নয়।
যে সকল মানুষের ক্ষেত্রে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে তাঁদের জন্য বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন ন্যাজাল স্প্রে। এই ম্যাজিক্যাল ন্যাজাল স্প্রের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হল এবার। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ন্যাজাল স্প্রে করোনা ভাইরাসকে আটকাতে সক্ষম।
সবেমাত্র শুরু হওয়া ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, এই ন্যাজাল স্প্রে করনো ভাইরাসের জীবাণুকে ৯৯.৯ শতাংশ মারতে সক্ষম। এই মুহূর্তে সারের অ্যাসফোর্ড এবং সেন্ট পিটার্স হসপিটালে এই ন্যাজাল স্প্রের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, তাঁদের তৈরি এই ন্যাজাল স্প্রে করোনা ভাইরাসকে মারতে সক্ষম। এই স্প্রে ভাইরাসকে কখনওই ফুসফুস পর্যন্ত পৌঁছতে দেবে না। কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে অবস্থিত স্যানোটাইজ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন এই ন্যাজাল স্প্রে তৈরি করেছে।
প্রথমে বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের উপর ন্যাজাল স্প্রে প্রয়োগ করেছিলেন। তাতে দেখা যায়, সংক্রমণের পরের দিনই এটি ৯৫ শতাংশ কার্যকর হয়েছে। কানাডাতে এই ন্যাজাল স্প্রের দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
কানাডার স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, করোনার ভ্যাকসিন অপ্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ শিশুদের দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে।
কিন্তু এই ন্যাজাল স্প্রে খুব সহজেই বাচ্চাদের উপর প্রয়োগ করা যাবে। স্যানোটাইজের এই পরীক্ষামূলক পর্ব সফল হলে চলতি বছরের গ্রীষ্মের মধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশ এই ন্যাজাল স্প্রে ব্যবহার শুরু করবে বলেই খবর।