দেশে ফেরার আশা যখন ক্রমশই ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছিল সে সময় হঠাৎই মুক্তি পেলেন ৬৫ বছরের হাসিনা বেগম। মঙ্গলবার তিনি পাকিস্তান থেকে ভারতে ফিরেছেন।
দেশে ফেরার পর হাসিনা বলেছেন, আমি অত্যন্ত খুশি। অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আমাকে দিন কাটাতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরতে পেরে শান্তি পেলাম। মনে হচ্ছে স্বর্গে রয়েছি। পাকিস্তান আমাকে জোর করে আটকে রেখেছিল।
কেন হাসিনা বেগমকে আটক করেছিল পাকিস্তান? জানা গিয়েছে, হাসিনার শ্বশুরবাড়ি পাকিস্তানে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে দেখা করতেই তিনি পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি গিয়ে তিনি কোনওভাবে তাঁর পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেন।
বিষয়টি তিনি বারবার লাহোর পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁর কোনও কথায় কর্ণপাত করেনি। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের জেলেই ঠাঁই হয় নিরাপরাধ হাসিনার।
নিয়মিত মুক্তির জন্য আবেদন করতেন হাসিনা। কিন্তু মুক্তি অধরাই রয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ পুলিশের চেষ্টায় এই ষাটোর্ধ্ব মহিলা মুক্তি পেলেন। ঔরঙ্গবাদ থানায় হাসিনা বেগমের জন্য একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল।
সেই রিপোর্টটি এসে পৌঁছায় পাকিস্তানের লাহোর প্রশাসনের হাতে। তখনই হাসিনার পরিচয় স্পষ্ট হয়। এরপরই এই বৃদ্ধাকে মুক্তি দিতে এগিয়ে আসে পাক পুলিশ। গত সপ্তাহে তাঁকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান।
শেষ পর্যন্ত সব নিয়ম মেনে মঙ্গলবার তাঁকে তুলে দেওয়া হয় ভারতের হাতে। দেশে ফিরে ঔরঙ্গবাদ পুলিশের কাছে নিজের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন হাসিনা।