নিজেদের বাঁচাতে নির্যাতিতার পরিবারকে খুনের হুমকি দেয়। ফলে প্রায় এক সপ্তাহ মুখে কুলুপ এঁটেছিল ওই পরিবার। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা গেলেও বাকি দুই অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
গত ১৯ জানুয়ারি বাড়িতে দুধ আনতে বেরিয়েছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের ওই দলিত মহিলা। রাজস্থানের নাগোর এলাকায় তার পথ আটকায় মূল অভিযুক্ত।ওই দলিত মহিলাকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয় সে।
মহিলা ভয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ওই অভিযুক্ত ও তার দুই সঙ্গী মহিলাকে ধরে ফেলে। তিনজনের মিলে মহিলার উপর পাশবিক অত্যাচার চালায়। ধর্ষণের পর তাঁর গোপনাঙ্গে কাঁচের বোতল ঢুকিয়ে দেয়। কয়েক ঘণ্টা পরে কোনওমতে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন মহিলা।
বাড়িতে এসে পরিবারকে পুরো বিষয়টি জানান ওই মহিলা। কিন্তু পুলিশের কাছে যাওয়ার আগেই তার বাড়িতে হাজির হয় অভিযুক্তরা। পরিবারের সদস্যদের খুনের হুমকি দেয় তারা। এরপর ৬দিন কার্যত ঘরবন্দী ছিল পরিবারটি।
অবশেষে ২৬ জানুয়ারি পুলিশি অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। যদিও নির্যাতিতার ভাই পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই থানার ইনচার্জ বদলি হয়ে গিয়েছেন।
তবে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গাফিলতির প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুজনের খোঁজ চলছে।