অনলাইন ডেস্ক, ২৮ জানুয়ারি।।শুক্রবার ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
আসন্ন বাজেটে কোন খাতে কী পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে রেল বাজেট নিয়ে একটি সম্ভাব্য প্রতিবেদন পেশ করল রেটিং এজেন্সি ব্রিকওয়ার্ক রেটিংস।
ওই রেটিং সংস্থা ‘এক্সপেক্টেশন এফওয়াই-২২’ নামে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সংস্থা করা সেই সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে রেলের জন্য ১.৭০লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে পারেন অর্থমন্ত্রী। এক্ষেত্রে রেলওয়ের গ্রস বাজেটারি সাপোর্টের পরিমাণ হতে পারে ৭৫ হাজার কোটি টাকা।
ওই রেটিং সংস্থার অনুমান, মূল অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সুরক্ষা তহবিলে আরও ৫০ শতাংশ অর্থ বাড়ান হতে পারে। বর্তমানে রেলের সুরক্ষার জন্য ২০০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। এটা বাড়িয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা করা হতে পারে। এর ফলে রেলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিকাঠামো আরও মজবুত হবে।
রেটিং সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এবারের বাজেটে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে রেলের বেসরকারিকরণ, নতুন রুটে দ্রুত গতি সম্পন্ন ট্রেন পরিষেবা চালু করা, পর্যটন বা তীর্থস্থানগুলির মধ্যে সংযোগ বাড়াতে নতুন ট্রেন চালু করার মতো একাধিক বিষয়।
পাশাপাশি উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে রেল পরিকাঠামো আরও সুদৃঢ় করা এবং রেল যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করার ওপরেও নজর দেওয়া হতে পারে। পরিবেশ দূষণ রুখতে গ্রিন এনার্জি ব্যবহারের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে ক্ষেত্রেও বরাদ্দ বাড়তে পারে।
মহারাষ্ট্র ও বিহার থেকে দেশের অন্যান্য প্রান্তে যে কিষাণ রেল প্রকল্প শুরু হয়েছে তার পরিসর আরও বাড়ানো হতে পারে এবারের বাজেটে।
পাশাপাশি রেলের বেসরকারিকরণ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অর্থমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবার ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের জন্য যে সমস্ত আবেদন করা হয়েছে তার মূল্যায়ন করেছে রেলমন্ত্রক।
এই মুহূর্তে রেল বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আনতে চায়। লার্সেন অ্যান্ড টুবরো, জিএমআর, টাটা গোষ্ঠীর মতো একাধিক সংস্থা ইতিমধ্যেই রেল মন্ত্রকের কাছে বেশ কিছু ট্রেন চালানোর জন্য আবেদন জানিয়েছে।