দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, কৃষকদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে আহত হয়েছেন ৮৬ জন পুলিশকর্মী। ৮টি বাস এবং ১৭টি ব্যক্তিগত গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। অশান্তি রুখতে লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের ঢোকা ও বেরনোর গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। জামা মসজিদ মেট্রো স্টেশনের গেটও বন্ধ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনের তরফে।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে নভেম্বরের শেষ থেকেই দিল্লি সীমানায় আন্দোলন করছেন হাজার হাজার কৃষক। এত দিন তাঁদের আন্দোলন মোটের উপর শান্তিপূর্ণই ছিল। রাজধানীর কোন পথে মিছিল যাবে তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গেও কথা হয়েছিল কৃষক সংগঠনের নেতাদের।
ট্র্যাক্টর নিয়ে লালকেল্লা যাওয়ার অভিপ্রায় নেই বলে আগেই জানিয়েছিলেন নেতারা। কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর র্যালি রাস্তায় নামতেই পরিস্থিতির বদল ঘটে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দিল্লি।
প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজধানীর রাস্তা দিয়ে ঝড়ের বেগে ছুটল একের পর এক ট্র্যাক্টর। মিছিলের চাপে ভেঙে পড়ল পুলিশের ব্যারিকেড। কোথাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর। কোথাও লাঠিবৃষ্টি করে পুলিশ। চলে কাঁদানে গ্যাসও। পাল্টা মারমুখী হয় আন্দোলনকারীদের একাংশ।
একটি দল পৌঁছে যায় লালকেল্লাতেও। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার যে জায়গায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা তোলেন, প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে সেই খুঁটিতে চড়ে কৃষক সংগঠনের ঝান্ডা লাগিয়ে দেন হরিয়ানা-পাঞ্জাব সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা বিক্ষোভকারী কৃষকেরা।
এদিকে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে আন্দোলনকারীদের সীমানায় ফেরার জন্য বার বার আবেদন করতে থাকেন নেতারা, কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ চলাকালীন ট্র্যাক্টরটি উল্টে এক বিক্ষোভরত কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতির মোকাবিলা না করতে পারায় দিল্লি পুলিশের দিকেও আঙুল তুলছেন অধিকাংশ মানুষ।