করোনাভাইরাস ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা বিষয়ে তারা সম্মত হয়েছেন। তাদের ফোনালাপে স্থান পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ও ইরানের পরমাণু ইস্যুও।
বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর এ প্রথম রবিবার ম্যাখোঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এলিসি প্রাসাদ সূত্র জানায়, দুই নেতা নিজেদের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেছেন।
এ সময় উভয়ে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা, বিশেষ করে ইরানের পরমাণু ইস্যুতে একযোগে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ম্যাখোঁ বাইডেনের প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরে আসার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে করা এই চুক্তি থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে গিয়েছিলেন।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাইডেন ফ্রান্সকে আমেরিকার পুরোনো মিত্র হিসেবে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তি, কভিড ১৯ এবং বিশ্ব অর্থনীতি বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
ট্রাম্পের সময়ে ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কের যে টানাপোড়েন তৈরি হয় তা থেকে বেরিয়ে আসতে বাইডেনের এটি সর্বশেষ প্রচেষ্টা।
হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে, বাইডেন ও ম্যাখোঁ চীন, মধ্যপ্রাচ্য, রাশিয়া ও সাহেল বিষয়ে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেছেন।
বাইডেন এর আগে শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এটি ছিল ইউরোপীয় কোনো নেতার সঙ্গে বাইডেনের প্রথম ফোনালাপ।
দায়িত্ব নেওয়ার পর বাইডেন প্রথম কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ও পরে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এন্ড্রুজ ম্যানুয়েল লোপেজ ওবারদরের সঙ্গে কথা বলেন।