প্রথম ধাপ: ত্বকের ধরনের সঙ্গে মানানসই ক্লিনজার বেছে নিন। মুখে হালকা গরম জলের ঝাপটা দিয়ে ভিজিয়ে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। মুখ পরিষ্কার করতে বেছে নিতে পারেন মধু। মধুর আর্দ্রতা আপনার ত্বক কোমল, নরম রাখবে। ভেজা মুখে মধু লাগিয়ে এক মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। সব ত্বকের জন্যই এটি উপযোগী।
দ্বিতীয় ধাপ: এবার ত্বক থেকে মৃত কোষ তুলে ফেলার পালা। স্বাভাবিক ত্বক হলে এক চা চামচ ওটমিল গুঁড়া করে তার সঙ্গে এক চা চামচ মধু আর এক চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে নিন। ত্বক শুষ্ক হলে মধু আর অলিভ অয়েলের সঙ্গে মেশান এক চা চামচ চিনি। আর তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মধু আর চিনির সঙ্গে এক চা চামচ জল মেশালেই হল! মুখে লাগিয়ে কোমলভাবে রগড়ে তুলে দিন যাবতীয় মৃত কোষ।
তৃতীয় ধাপ: চওড়া পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিন। তারপর মাথায় একটা তোয়ালে চাপা দিয়ে জলের পাত্রটার উপর ঝুঁকে পড়ুন যাতে ভাপটা মুখে লাগে। পাঁচ-সাত মিনিট এভাবে ভাপ নিন। ইচ্ছে করলে জলে পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন, ত্বক বাড়তি সতেজতা পাবে।
চতুর্থ ধাপ: ফেস মাস্ক লাগান। স্বাভাবিক ত্বকে মধু, টক দইয়ের প্যাক, শুষ্ক ত্বকে আধখানা চটকানো পাকা কলা আর মধু, তেলতেলে ত্বকে মুলতানি মাটি আর মধুর প্যাক দারুণ ভালো কাজ করে। সমানভাবে সারা মুখে মেখে আধা ঘণ্টা চুপচাপ চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকুন। চোখে শসা স্লাইস করে কেটে চাপা দিয়ে রাখতে পারেন অথবা গোলাপজলে তুলা ভিজিয়ে চেপে রাখুন। ত্বক আর চোখ দুইই স্নিগ্ধ থাকবে। আধঘণ্টা পরে ঠান্ডা জলে মাস্ক ধুয়ে তুলে দিন।
পঞ্চম ধাপ: এবার মুখের খুলে যাওয়া রোমছিদ্র বন্ধ করার পালা আর তার জন্য দরকার টোনার। আধ চা চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে এক চা চামচ জল মিশিয়ে তাতে তুলো ভিজিয়ে মুখটা মুছে নিন। অ্যাপল সিডার ভিনেগার ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স অটুট রাখবে। শসার রসও খুব ভালো টোনার, তা ত্বককে স্নিগ্ধও রাখে। অ্যাপল সিডার ভিনেগার বা শসার রসের বদলে ঠান্ডা বরফ পানিতেও মুখ ধুতে পারেন, কিন্তু তা থেকে বাড়তি উপকার পাবেন না।
ষষ্ঠ ধাপ: ময়েশ্চারাইজার মাখুন। ঘরোয়া ফেসিয়ালের শেষ ধাপ এটি। এমনিতে ত্বকের সঙ্গে মানানসই রেডিমেড ময়েশ্চারাইজার মাখতেই পারেন। আর ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার মাখতে ইচ্ছে করলে স্বাভাবিক ত্বকের মালকিনেরা আধ চা চামচ অলিভ অয়েল বা আমন্ড অয়েল মেখে নিন। শুষ্ক ত্বক হলে মাখুন নারকেল তেল বা আর্গান অয়েল।
পারলারে ফেসিয়াল করার পর যা যা নিয়ম মানেন, তার সবক’টি ঘরোয়া ফেসিয়ালের বেলাতেও মেনে চলতে হবে। ফেসিয়ালের পর পরই মেকআপ করবেন না।