তবে বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার বি মহেশ সংস্থার বিভিন্ন পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই মহেশ বলেন, পুরনো ৫, ১০ ও ১০০ টাকার নোটের ব্যবহার আস্তে আস্তে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এমনটাই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পরিকল্পনা মত কাজ এগুলো মার্চ-এপ্রিল থেকেই ওই ধরনের পুরনো নোট বন্ধ হয়ে যাবে। উল্লেখ্য বি মহেশ সংস্থার অফিসারদের এই কথা জানালেও এখনও প্রকাশ্যে তিনি বা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কেউই এ বিষয়ে কোনও কথা জানায়নি।
ইতিমধ্যেই বাজারে নতুন ৫, ১০ ও ১০০ টাকার নোট চালু হয়ে গিয়েছে। ২০১৯-এ চালু হয়েছে নতুন ১০০ টাকার নোট। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর আগে ২০১৬-য় নোট বাতিল করার ফলে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল সেই ঘটনা এড়াতে চাইছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সে কারণেই সরাসরি ৫, ১০ ও ১০০ টাকার নোট তুলে নেওয়া বা বাতিল করার কথা বলছে না। তবে পুরনো নোটের ব্যবহার বন্ধ করতেই তারা নতুন ৫, ১০ ও ১০০ টাকার টাকার নোট বাজারে এনেছে।
নতুন নোট বাজারে বেশি করে এসে গেলে ধীরে ধীরে পুরনো নোটগুলি তুলে নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে হয়রানির মধ্যে পড়তে হবে না। সে কারণেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই পুরনো ৫, ১০ ও ১০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ রেখেছে। সরকার খরচ কমাতে ধীরে ধীরে নোটের পরিবর্তে কয়েন আনতে চলেছে। এজন্য বেশ কয়েক বছর আগেই ১০ টাকার কয়েন চালু করা হয়েছে।
কিন্তু দশ টাকার কয়েন নিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয় আছে। শুরু থেকেই সাধারণ মানুষ অনেকেই ভাবেন, দশ টাকার কয়েন বেশিদিন চলবে না। তাই অনেক সময় হাটে-বাজারে এই কয়েন নিতে অস্বীকার করা হয়। ফলে মানুষ সমস্যায় পড়েন। যদিও আরবিআই স্পষ্ট জানিয়েছে, ১০ টাকার কয়েন বৈধ।