কলকাতা নাইট রাইডার্সের অফিসিয়াল টুইটার পেজে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে শুভমন জানিয়েছেন, পাঞ্জাবের মফস্বল অঞ্চল থেকে উঠে আসা বাকি ছেলেদের মতো তিনিও হাজমোলা, লজেন্স খেতে খুব পছন্দ করতেন। আর সেই লোভ থেকে বাইশ গজে যে কোনও ধরনের শর্ট বল মোকাবিলা করার অভিযান শুরু হয়েছিল। তিনি বলেছেন, “ছোটবেলায় গ্রামে এক বিশেষ ধরনের উইকেট পুঁতে আমরা খেলতাম। সেই উইকেট আবার আমার থেকেও লম্বা ছিল। বাবা বলতেন আমাকে যে আউট করতে পারবে তাকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পুরস্কার দেবেন। কিন্তু ওরা কেউ আমাকে আউট করতে পারত না। তাই সেই টাকাগুলো আমার কাছে চলে আসতো। তারপর সেই টাকা থেকে হাজমোলা, লজেন্স কিনে খেতাম।” জানিয়েছেন হাজমোলা ক্যান্ডি ছিল খুব প্রিয়। সেটা বেশ জানতেন লখবিন্দর সিংহ। শুভমনের আগ্রাসী মানসিকতা দেখার জন্য বাবা লজেন্স খাওয়ানোর লোভ দেখাতেন। সেই চ্যালেঞ্জ জয় করতেই নিজেকে তৈরি করেছিলেন শুভমন।
শর্ট বল সামলাতে গিয়ে শুরুর দিকে অনেক ধরনের চোটের মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। তবে হার মানেননি কেকেআর তারকা। তারই সঙ্গে মোহালির বাউন্সি উইকেটও তাঁকে অনেক সাহায্য করেছে। তিনি বলেছেন, “মাত্র নয় বছর বয়স থেকে লাল বলে অনুশীলন করছি। পাড়ার বড় দাদাদের সঙ্গে খেলতাম। তাদের মধ্যে অনেকেই বেশ জোরে বল করত। সেই বলগুলো অনেকবার গায়ে, মাথায় খেয়েছি। তবুও ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাইনি। একজন ব্যাটসম্যান যতো আঘাত খাবে, ততোই তার মনোবল শক্ত হবে। আন্তর্জাতিক স্তরে খেলতে হলে এটাই একমাত্র নিয়ম। তাই আমিও স্রেফ কঠোর পরিশ্রম করে গিয়েছি।” যোগ করেছেন, “ছোটবেলা সিমেন্টের পিচে ভেজা টেনিস বলে প্র্যাকটিস করতাম। তাছাড়া বাবা খাটিয়া পেতেও প্র্যাকটিস করাতেন। তাই ব্যাকফুট পাঞ্চ, স্কোয়ার কাট, হুক, পুল করতে কোনও সমস্যা হয় না। তবে অনেক সময় শরীরের ভেতরে আসা শর্ট বল খেলতে সমস্যা হত। তাই শরীরকে একটু পিছনে নিয়ে গিয়ে ওই বলগুলো খেলতাম। এভাবেই শর্ট বল খেলা রপ্ত করেছি। আর এই শটগুলোই এখন আমার ফেভারিট।”