দূরদূরান্ত থেকেও ব্যাপকসংখ্যক মানুষজন এই মেলায় শামিল হন।গ্রামের যেসব লোকজন দোকান খুলে বসে ছিলেন তারা ভালো বেচাকেনা করেছেন।শুধু পিঠাপুলি নয় এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি ফসলও মেলায় ব্যাপকহারে বিক্রি হয়েছে। তিন দিনব্যাপী পৌষ পার্বণ মেলা শেষ হয়ে গেলেও আলপনা গ্রামে এখনো পর্যটকদের আনাগোনা পরিলক্ষিত হচ্ছে।বিধায়ক ডাক্তার দিলীপ দাস রবিবার আলপনা গ্রাম পরিদর্শন কালে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে মতবিনিময় করেন। তিনি জানান এলাকায় বসবাসকারীদের সিংহভাগই কাপালি সম্প্রদায়ের লোকজন। তাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি আলপনার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আলপনা গ্রামের প্রতিটি বাড়িঘরে আলপনা আঁকা রয়েছে।
তিনি আরো জানান প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় এলাকায় যেসব ঘরবাড়ি তৈরি হয়েছে সেইসব ঘরে সাদা রং করে আলপনা আঁকার ব্যবস্থা করা হবে।লঙ্কামুরা আলপনা গ্রামকে যাতে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা যায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তিনি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবেন বলেও জানান।বিধায়ক আরো বলেন আলপনা গ্রামে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যটকরাও যাতে আসেন সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।পরিদর্শনকালে বিধায়ক জানান আগরতলা শহর ও শহরতলীর এলাকা থেকে এখনও বহু ছেলেমেয়ে আলপনা গ্রামে বেড়াতে যাচ্ছেন।শহরের পাশাপাশি এলাকায় এ ধরনের একটি গ্রাম গড়ে ওঠায় পর্যটকরা আকর্ষিত হবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে আলপনা গ্রামের বাসিন্দাদের সবধরনের সহযোগিতা করতে তিনি প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন।