গত ১০ জানুয়ারি শানডং প্রদেশের হুসান স্বর্ণখনিতে এক বিস্ফোরণের পর খনির প্রবেশ মুখটি ধসে পড়ে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, এই দলটি এর আগে উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয় এবং তাদের তাদের খাবার ও অন্যান্য রসদপত্র পাঠানো হয়েছিল।
উদ্ধার হওয়া প্রথম খনি শ্রমিককে রবিবার সকালে তুলে আনা হয়। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তাররা তার অবস্থা ‘খুবই দুর্বল’ বলে বর্ণনা করেছেন।তার উদ্ধারের এক ঘণ্টা পর খনির ভিন্ন একটি জায়গা থেকে আরও আটজন শ্রমিককে তুলে আনা হয়।
চীনা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির খবরে বলা হয়, এই দলের একজন আহত হয়েছেন। অন্যদের দেখা গেছে উদ্ধারকর্মীদের সাহায্য নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের দিকে হেঁটে যাচ্ছেনএই ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতার গতি বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আটকে পড়া বাদবাকি শ্রমিকদের উদ্ধার করতে সুড়ঙ্গ যে খোঁড়া হচ্ছে, তাতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে।
প্রথম যে ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয় তিনি ১০ জনের দলের মধ্যে ছিলেন না। তাকে উদ্ধার করা হয় স্বর্ণখনির ভিন্ন একটি এলাকা থেকে। ওই দলটি উদ্ধার কর্মীদের জানিয়েছে যে, তাদের আরও ১০০ মিটার নিচে আরেক শ্রমিকের সঙ্গে তাদের একবার যোগাযোগ হয়। কিন্তু এরপর তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
মাটির ২০০০ ফুট নিচে গত ১৪ দিন ধরে এসব শ্রমিক নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের মধ্যে আটকা পড়ে ছিলেন। বাকি নিখোঁজ শ্রমিকদের সঙ্গে খনি কর্তৃপক্ষ এখনও যোগাযোগ করে উঠতে পারেনি। চীনে শিল্প খাতে নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ বেশ দুর্বল এবং খনি দুর্ঘটনা কোনো বিরল ঘটনা নয়। গত বছর ডিসেম্বর মাসে একটি কয়লাখনিতে কার্বন মনক্সাইড বিষক্রিয়ায় ২৩ জন শ্রমিক প্রাণ হারান।
গত সেপ্টেম্বরে চংকিং শহরের বাইরে আরেকটি খনিতে একই কারণে মারায় যায় ১৬ জন শ্রমিক। চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় গুইঝাও প্রদেশে এক কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে নিহত হন ১৪ জন।