অস্ট্রেলিয়া সফরে ড্রেসিংরুমে নতুন ক্রিকেটারদের চাঙ্গা করতে নিজের জীবনের সেই কাহিনি শুনিয়েছিলেন শাস্ত্রী। সেই গল্প যে ওয়াশিংটন সুন্দরের মনে গেঁথে যাবে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। ভারতীয় দলের নতুন অলরাউন্ডার জানান, তাঁর কোচের মতোই তিনি যদি কোনও দিন টেস্টে ওপেন করার সুযোগ পান, সেটাই হবে তাঁর কাছে সেরা আশীর্বাদ। ওয়াশিংটন বলেছেন, “রবি স্যর ওঁর কেরিয়ারের অনেক অনুপ্রেরণামূলক গল্প শুনিয়েছেন তিনি। যেমন কী ভাবে নিউজিল্যান্ডে বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে অভিষেক হয়েছিল। ম্যাচে মোট ছয় উইকেট পেয়েছিলেন এবং ১০ নম্বরে ব্যাট করেছিল। সেখান থেকে কী ভাবে একদিন টেস্ট ওপেনার হয়ে দাপুটে ফাস্ট বোলারদের সামলেছেন। আমিও ওঁর মতো টেস্টে ওপেন করতে চাই।”
অনূর্ধ্ব-১৯ স্তরে এক সময় উপরের দিকে ব্যাট করেছেন সুন্দর। পরে স্পিনার হিসেবেই পরিচিত হয়ে যান। ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলে এখন তিনি ‘অটোমেটিক চয়েস’। সেই সুন্দর বলেছেন, “ভারতের হয়ে কোনওদিন টেস্টে ওপেন করতে পারলে সেটা একটা আশীর্বাদ হিসেবে মনে করব। আমি সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে রাজি। ঠিক যে ভাবে রবি স্যর নিজের কেরিয়ারে করেছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে আমি যখনই কোনও প্রেরণা খুঁজি তখনই তা পাই ভারতীয় ড্রেসিংরুমে। বিরাট কোহালি, রোহিত শর্মা, অজিঙ্ক রাহানে, আর অশ্বিন—প্রত্যেকেই বড় ক্রিকেটার। সবার উপরে রয়েছেন রবি স্যর। এঁদের কাছে কোনও পরামর্শ চাইতে গিয়ে নিরাশ হতে হয়নি। ফলে বাইরের কারও থেকে প্রেরণা নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।”
ব্রিসবেন টেস্টে শেষ দিনে ভারতের রান তাড়া করে নিয়ে তিনি বলেছেন, “জানতাম পন্থ উইকেটে থাকলে বিপক্ষ বোলারেরা চাপে থাকবে। যদি দ্রুত ২৫-৩০ রান তুলে ফেলা যায়, তা হলে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। প্রথম ইনিংসে শার্দূলও আমার সঙ্গে জুটি বেঁধে ভাল রান করেছিল।’’ নিজের বোলিং নিয়ে ওয়াশিংটন জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি উইকেট তাঁকে আগ্রাসী বোলিং করতে অনেক সাহায্য করেছে।