উল্লেখ্য ২৪ জানুয়ারি দিনটি জাতীয় বালিকা দিবস পালন করা হয়। এই দিনটিতে সৃষ্টিকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। সৃষ্টি আদতে একজন বাঙালি। তবে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর পরিবার উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। হরিদ্বারের দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা সৃষ্টি কৃষিবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার বাবা প্রবীণ গোস্বামী গ্রামে একটি ছোট মুদিখানার দোকান চালান। মা একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী।
উল্লেখ্য, ২০১৮ থেকেই এই বাঙালি তরুণী উত্তরাখণ্ডের শিশু বিধানসভার মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর সৃষ্টি এদিন বলেন, আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে আজ আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আমি অবাক, আমি অভিভূত। তবে আমি এটা জানাতে চাই যে, প্রশাসনের কাজে যাতে যুবসমাজ দক্ষ হয়ে উঠতে পারে তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। যুবসমাজ যাতে দেশ তথা রাজ্যের কথা ভাবে তার জন্য আমি সব ধরনের চেষ্টা চালাব।
উত্তরাখণ্ডের শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা উষা নেগি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিধানসভা ভবনে রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সৃষ্টি দু বছরের বেশি সময় ধরে বর্তমান সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন কাজ করছেন। তাই আমরা সকলেই তাঁর দক্ষতা সম্পর্কে অবগত। সে কারণেই সৃষ্টিকে একদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে উত্তরাখণ্ড সরকার যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।