স্টাফ রিপোর্টার, উদয়পুর, ২৩ জানুয়ারি৷৷ বেপরোয়া বাইকেকর ধাক্কায় নিহত যুবকের আত্মীয় পরিজন সহ এলাকার লোকজন ঘাতক বাইকের চালক ও আরোহীকে গ্রেপ্তারের দাবীতে পথ অবরোধ সংগঠিত করেছে উদয়পুর – কাকড়াবান সড়ক৷ আজ ছিলো নিহত সাগর দে’র পারলৌকিক ক্রিয়া তথা শ্রাদ্ধ ক্রিয়া৷ এদিকে গত তিনদিন ধরে আত্মীয় পরিজন ও এলাকাবাসী উদয়পুর রাধাকিশোরপুর থানায় প্রতিনিয়ত আসামি তথা বাইক চালক রূপক মজুমদার সহ অপর বাইক আরোহীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আসছিলো৷
এলাকাবাসী সহ সাগরের নিকট আত্মীয়রা ৯০ঘন্টা অপেক্ষার পর আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিট সাগরের বাড়ির সামনে রাস্তা অবরোধ করেন আসামি তথা ঘাতক রূপক মজুমদারের গ্রেপ্তারের দাবিতে৷সংবাদ প্রতিবেদকের মাধ্যমে খবর পৌছে যায় মহকুমা সাধারন প্রশাসন থেকে শুরু করে পুলিশের এস পি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এস ডি পি ও , ও সি রাধাকিশোরপুর থানা সহ অন্যান্য আধিকারিকদের নিকট৷ রাধাকিশোরপুর থানার নবনিযুক্ত ও সি নারু গোপাল সহ পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকরা অবরোধ স্থলে পৌছা মাত্র আন্দোলনকারী নারী-পুরুষরা তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন -এ যেন আগুনে ঘৃতাহুতির মতো অবস্থা৷ অবরোধ কারীদের অভিযোগ উদয়পুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধ্রুব নাথের বিরুদ্ধে৷
যেহেতু আর কে পুর থানার ওসি নারু গোপাল মাত্র গতকাল নতুন কর্মস্থল আর কে পুর থানা যোগদান করেছেন -তাই মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধ্রুব নাথ কেন আসামি তথা ঘাতক রূপক মজুমদারের গ্রেপ্তারের ব্যপারে কোন ভূমিকা নেননি-এই ব্যাপারে অবরোধ কারীরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধ্রুব নাথের কাছে জানতে চাইলে -ধ্রুব নাথ কোন সুনির্দিষ্ট উত্তর দিতে না পারায় সমস্ত ক্ষোভ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধ্রুব নাথের উপর উগলে পরে৷
এলাকাবাসী ও অবরোধকারীরা অভিযোগ করেন পুলিশ পয়সার বিনিময়ে ঘাতক বাইক চালক রূপক মজুমদারকে তেপানিয়া জেলা হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছে৷৷তা না হলে জনরোষে ঘাতক বাইক চালক রূপক মজুমদারকে আক্রমণ করতে পারতো- এলাকা বাসি তা না করে আইন নিজের হাতে না নিয়ে ঘাতক বাইক চালক রূপক মজুমদারকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের নিকট তুলে দেন৷ পুলিশ কেন তেপানিয়া জেলা হাসপাতালে গিয়ে ঘাতক বাইক চালক রূপক মজুমদারকে গ্রেপ্তার করলো না ? এটাই অবরোধ কারীরা এস ডি পি ও ধ্রুব নাথের নিকট জানতে চাইলে উনি মুখে কুলুপ এঁটে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন৷ এতে অবরোধ কারীরা আরো উত্তেজিত হয়ে যান৷মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধ্রুব নাথ সাংবাদিকদের প্রশ্ণের উত্তরে ঠায় কাঠের পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে থাকেন৷
পরবর্তীতে চাপে পরে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধ্রুব নাথ অবরোধকারীদের দাবি অনুযায়ী চবিবশ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক বাইক চালক রূপক মজুমদার সহ বাইক আরোহী কে গ্রেফতার করার আস্বাস দিলে প্রায় দুই ঘন্টা পর উদয়পুর-কাকড়াবন সড়ক অবরোধ মুক্ত হয়৷ যদিও অবরোধের খবর পেয়ে উদয়পুর পুরপরিষদের পুরপিতা শীতল চন্দ্র মজুমদার , ভারতীয় জনতা দলের গোমতি জেলা অফিস সম্পাদক ত্রিদিব দাস, আর কে পুর মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস, যুব মোর্চার সভাপতি রাকেশ শীল , ইয়ং সোসাইটির সদস্য অমল দাস ও সভাপতি সুজিত কুমার লোধ সহ নেতৃত্বরা অবরোধ কারীদের ২৩ শে জানুয়ারির দিন অবরোধ তুলে নেওয়ার আবেদন করেন এবং প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে তাড়াতাড়ি অবরোধ তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন৷
এই দুই ঘন্টায় উদয়পুর-কাকড়াবন সড়কে শতাধিক যানবাহন রাস্তায় আটকে যায়৷ অবরোধ কারীরা জানিয়ে দিয়েছেন চবিবশ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক বাইক চালক রূপক মজুমদারকে গ্রেপ্তার না করলে বৃহত্তর আন্দোলন সংঘটিত করবেন৷এখান উল্লেখ থাকে যে সাগর ত্রিপুরার বডি বিল্ডারস এসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন এবং খুব অল্প দিনে দেহ সৌষ্ঠব প্রদর্শন করে অনেক খ্যাতি অর্জন করে ছিলেন৷সে উদয়পুর নেতাজি সুভাষ মহাবিদ্যালয়ে পাঠরত ছিলো৷