এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানায়, হালে তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে চীনে। বিশেষ করে সমালোচনার তীর ছোড়া হচ্ছে অভিনেত্রীর দিকে।
সম্প্রতি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম উইবোতে ঝাং-এর লেখা পোস্ট থেকেই শুরু বিতর্ক।
চলতি মাসের শুরুতে তিনি দাবি করেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আটকে আছেন। কারণ দুই নিষ্পাপ শিশুকে দেখভাল করতে হচ্ছে। তাদের ছেড়ে আসা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
বলা হচ্ছে, সারোগেসি বা গর্ভ ভাড়া করে মা-বাবা হয়েছেন ঝেং ও ঝাং। কিন্তু এখন অভিযোগ উঠেছে, বাচ্চাদের ছেড়ে এসেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
ইতিমধ্যে চীন সংবাদমাধ্যমে দুই শিশুর জন্ম সনদ ছাপা হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের জন্ম যথাক্রমে ডিসেম্বর ২০১৯ ও জানুয়ারি ২০২০। তাদের মা-বাবা হিসেবে ঝেং ও ঝাং-এর নাম লেখা রয়েছে।
প্রকাশ হওয়া একটি ফোন রেকর্ডিংয়ে শোনা যায়, দুই শিশুকে ছেড়ে আসতে বা দত্তক দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অভিনেত্রীর মা-বাবা। সেখানে এই বলে ঝেং হতাশা প্রকাশ করেন যে, সাত মাসের গর্ভবতী হওয়ায় দুই শিশুর মায়েদের গর্ভপাত সম্ভব নয়।
এমন খবর ছড়াতেই হতবাক অনেকে। কারণ চীনের পারিবারিক বন্ধনকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। এ ছাড়া দেশটির আইন গর্ভ ভাড়া নেওয়ার বিরোধী। এ বিষয়টি নিয়ে চীনে খুবই বিতর্ক রয়েছে। যদিও গোপনে গর্ভ ভাড়া দেওয়ার অনুশীলন রয়েছে।
চীনে বলা হয়ে থাকে, সারোগেসিতে মায়ের ‘গর্ভধারণ’কে ব্যবসায়িক সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যা নীতিবহির্ভূত।
এ ঘটনায় ঝেং প্রচণ্ড সমালোচিত হয়েছেন। এমনকি চীনের শাসক দল সিসিপি থেকে বিরক্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি উইবোতে ব্যক্তিগত জীবনের এ ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেন ঝেং শুয়াং। সঙ্গে জানান, তিনি চীনের আইন ভঙ্গ করেননি। এ ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রে ঘটেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই কেলেঙ্কারির কারণে চীনের প্রথম সারির এ অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারে ভাটা পড়বে। কারণ, মহামারির সময় দুই শিশুকে ফেলে আসা কেউই পছন্দ করছেন না।
তবে ঝেং ও ঝাং-এর ঘটনা প্রথম নয়। এটা খুবই চর্চিত বিষয় যে, চীনে গর্ভ ভাড়া নিষিদ্ধ হওয়ায় দেশটির অনেক অভিজাতই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সন্তান নিয়ে থাকেন।