উদ্ধারকৃত সামগ্রীর বাজারমূল্য আনুমানিক ৬ লক্ষ টাকা হবে বলে জানা গেছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধিক্ষেত্রের অন্তর্গত বিভিন্ন রাজ্যে ধারাবাহিকভাবে সতর্ক থাকার ফলে রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর (আরপিএফ) দ্বারা সফলভাবে শিশু উদ্ধার করা হয়েছে। ২২-০১-২০২১ তারিখে এমন একটি ঘটনায় গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশনে সকাল ৬.৪৫ মিনিটে নিজের কর্তব্য পালনের সময় গুয়াহাটি আরপিএফ পোস্টের মহিলা কনস্টেবল সংগীতা শর্মা একটি কিশোরীকে স্টেশনের মুল গেট দিয়ে সন্দেহজনক অবস্থায় প্রবেশ করতে দেখেন।
তাকে জিজ্ঞাসা করার পর তার নাম জানতে পারে এবং কিশোরীটি মহিলা কনস্টেবলকে জানায় যে সে অভিভাবককে না জানিয়ে কাজ খুঁজতে দিল্লিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে। তার বাড়ি অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সিয়াং জেলার পাসিঘাটে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ওই কিশোরীকে গুয়াহাটির আরপিএফ পোস্টে নিয়ে আসা হয়। তার ব্যাগ তল্লাশি করে একটি আধার কার্ড, একটি স্কুল আইডেনটিটি কার্ড, কিছু পরিধানের পোশাক, একটি স্যামসাং স্মার্ট ফোন, দুটি ব্যাংক পাসবুক (এসবিআই ও অরুণাচলপ্রদেশ গ্রামীণ ব্যাংক) ও নগদ ১৪৩০ টাকা পাওয়া যায়। আরপিএফ গুয়াহাটির পক্ষ থেকে তার দাদার মোবাইলে ফোন করে ঘটনাটি জানানো হয়।
এরপর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পর কিশোরীটিকে গুয়াহাটির রেলওয়ে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২২-০১-২০২১ তারিখে আরেকটি এমন ঘটনায় গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশনে মানব পাচারের বিরদ্ধে তল্লাশি গলানোর সময় গুয়াহাটি আরপিএফ পোস্টের মহিলা কনস্টেবল সংগীতা শর্মা সহ আ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর জে.এস. ওয়ায়ুংগানিং এবং গুয়াহাটি রেলওয়ে চাইল্ড লাইনের সদস্যরা সকাল ১১.১০ মিনিটে ৭ নং প্ল্যাটফর্মে ০৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরকে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় যে তারা বাড়ি কাউকে না জানিয়ে কাজের অনুসন্ধানে ট্রেনে করে শুয়াহাটি এসে পৌঁছেছে।
এরপর তারা নিজেদের নাম ও ঠিকানা জানায়। চারজন কিশোরের মধ্যে তিনজনের বাড়ি বেগুসরাইয়ে এবং আরেকজন বিহারের সমস্তিপুর জেলার বাসিন্দা। উদ্ধারকৃত কিশোরগুলি তাদের অভিভাবক অথবা আত্মীয়-স্বজনের যোগাযোগ নম্বর দিতে পারেনি। এরপর তাদের গুয়াহাটি আরপিএফ পোস্টে নিয়ে আসা হয় এবং সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পর তাদের গুয়াহাটি রেলওয়ে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।