অনলাইন ডেস্ক, ২৪ জানুয়ারি।।এক সপ্তাহ হল দেশে শুরু হয়েছে করোনার টিকাকরণ। প্রথম দফায় মূলত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী বা যারা করোনার বিরুদ্ধে একদম সামনে থেকে লড়ছেন তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
বিশেষ করে বিশ্বের কয়েকটি দেশে টিকা নেওয়ার পর মৃত্যুর ঘটনায় অনেকেই শঙ্কিত। শুক্রবার ভারতেও টিকা নেওয়ার কয়েকদিন পর এক স্বাস্থ্য কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ দেশেও বেশ কয়েকজন টিকা নিয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও কোনও ক্ষেত্রেই ভ্যাকসিনকে মৃত্যুর কারণ বলে মেনে নেওয়া হয়নি।
ঘটনার জেরে স্বাস্থ্যকর্মীরা যে আতঙ্কে ভুগছেন তার প্রমাণ মিলেছে। ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুতে এমন ২০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে যারা ভ্যাকসিন না নিয়েও নেওয়ার ভুয়ো দাবি করেছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিন থেকেই ভ্যাকসিনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি বেঙ্গালুরুতে। প্রথম দিন সেখানে ৪৭৫ জনকে টিকা দেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু টিকা দেওয়া হয় মাত্র ৩৫০ জনকে। পরবর্তী দিনে আরও কমে যায় টিকা নেওয়া মানুষের সংখ্যা।
মূলত টিকা নিয়ে ভীতি এবং কো-উইন অ্যাপের জটিলতার কারণেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধু বেঙ্গালুরু নয়, দিল্লি, পুনে, জয়পুর এবং চেন্নাই থেকেও এ ধরনের অভিযোগ এসেছে।
অর্থাৎ বেশকিছু স্বাস্থ্যকর্মী টিকা না নিয়ে নেওয়ার মিথ্যা দাবি জানিয়েছেন। অনেকে আবার টিকা নেওয়ার তালিকায় নাম থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ে টিকা নিতে হাজির হননি। তাঁরা অসুস্থতার কথা বলে টিকা নেওয়া এড়িয়ে গিয়েছেন।
বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকার এক অফিসার নিজের নাম গোপন করে জানান, এক মেডিক্যাল অফিসার নিজেই বলেছেন, তিনি এই ভ্যাকসিনকে বিশ্বাস করেন না। তাই তিনি এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন নেবেন না।
সেজন্য এক নার্সকে তিনি বলেন, তাঁর হাতে একটু তুলো লাগিয়ে দিতে যাতে তিনি টিকা নেওয়ার ভান করতে পারেন। এ ধরনের ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে কতজন মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হল সেই হিসেবে একটা গোলমাল হতে পারে। এই ধরনের মানসিকতাকে বিপদজনক বলে মনে করছেন ওই অফিসার।