স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৩ জানুয়ারি।। ফুলচাষকে ভিত্তি করে রাজ্যের ফুলচাষে উৎসাহীদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে৷ পাশাপাশি পর্যটনের বিকাশে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার৷
আজ আগরতলার রবীন্দ্র কাননে হর্টিকালচার সোসাইটি অব ত্রিপুরা আয়োজিত ৪দিনব্যাপী পুপ ও বাহারি পাতার প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে একথা বলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়৷ তিনি বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুলের ব্যবহার হয়ে থাকে৷
এই ফুল বহির্রাজ্য থেকে আমদানি করতে গিয়ে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়৷ ফুলচাষে উৎসাহীরাই রাজ্যের এই অর্থকে বাইরে যাওয়া থেকে রুখতে পারে৷ এরফলে রাজ্যের টাকা যেমন রাজ্যেই থাকবে তেমনি ফুলচাষে উৎসাহীরা স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারবে৷ বর্তমান রাজ্য সরকারও রাজ্যে ফুলের চাহিদা মেটাতে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করে ফুলচাষে উৎসাহীদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে৷
এইক্ষেত্রে হর্টিকালচার সোসাইটি অব ত্রিপুরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে৷ তিনি বলেন, ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরায়ও ফুলচাষে অপার সম্ভাবনা রয়েছে৷ রাজ্য সরকার এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের সার্বিক সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি পর্যটনকে দেশ বিদেশের মানুষের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে৷
জাতীয় সড়কের আশপাশে বাহারি ফুলের গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ ক’ষিমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে বিশাল অংশের জনগণ ফুলচাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন৷ ফুলচাষের পাশাপাশি ফুলকে কেন্দ্র করে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা রূপায়ণে উদ্যোগী হয়েছে৷
সরকারের পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিটি নাগরিক যখন এই শিল্পের বিকাশে এগিয়ে আসবেন তখনই এই শিল্পের বিকাশ ঘটবে৷ তিনি আশা প্রকাশ করেন রাজ্যের প্রতিটি জেলায় আয়োজক সংস্থা হর্টিকালচার সোসাইটি অব ত্রিপুরা যেন তাদের এই উদ্যোগ ছড়িয়ে দেবে৷ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার বিষয়টির উপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন৷
অনুষ্ঠানে হর্টিকালচার সোসাইটি অব ত্রিপুরার সম্পাদক গোপাল মল্ল স্বাগত বক্তব্যে বলেন, প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোসাইটি এই পুপ প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে৷ এবছর ১৪৮ জন বিভিন্ন প্রজাতির ফুল নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন৷ সমাপ্তি দিনে প্রতিযোগিতার বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হবে৷
অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা দেব সরকার, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব সি কে জমাতিয়া এবং উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ফণীভূষণ জমাতিয়া৷ অনুষ্ঠানে একটি মরণিকার আবরণ উন্মোচন করেন কৃষিমন্ত্রী৷