তিনি বলেন, ত্রিপুরার বহু কৃষিজ পণ্য আমদানি-রফতানি হচ্ছে৷ বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আসছে এবং ত্রিপুরা থেকে প্রচুর পণ্য বাংলাদেশ পাঠানো হচ্ছে৷ সেই পণ্যের মাধ্যমে কোনও ধরনের রোগ বহন হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা খুবই প্রয়োজন৷ সেক্ষেত্রে প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইনের সুযোগ থাকাও জরুরি৷ তিনি বলেন, শ্রীমন্তপুর ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন থেকে উন্নীত হয়ে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট হয়েছে৷ ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া এখন ওই স্থলবন্দরের দায়িত্বে রয়েছে৷ তাই, প্লান্ট কোয়ারেন্টাইন চালু করার ব্যবস্থা হয়েছে৷
তাঁর কথায়, প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইনের জন্য এলপিআই পরিকাঠামো গঠনে সমস্ত রকম সহায়তা করেছে৷ ফলে, আজ থেকে শ্রীমন্তপুর আইসিপি-তে প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইনের সুবিধা চালু হয়ে গেছে৷ তিনি বলেন, বেল, তেতুল, কাঁঠাল, আনারস শ্রীমন্তপুর স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি হচ্ছে৷ এখন থেকে সেখানেই প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইনের সমস্ত কাগজপত্র তৈরি হবে৷
তিনি জানান, প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইনের অফিস চালু করার সময় সেখানে কাস্টমস-এর অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার সিন্ধু কুশ উপস্থিত ছিলেন৷ দেবাশিস নন্দি জানান, আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে এনিম্যাল এবং প্ল্যান্ট উভয় কোয়ারেন্টাইন রয়েছে৷ কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার শ্রীমন্তপুর স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রফতানিতে ছাড় দেয়নি৷ ছাড় পাওয়া গেলে শ্রীমন্তপুরেও এনিম্যাল কোয়ারেন্টাইনের সুবিধা প্রদান করা হবে৷ (হি.স.)