গত রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির উপর হামলা এবং গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা সংগঠিত হয়েছে৷ খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়েছিলেন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক৷ তিনি প্রদেশ সভাপতির চিকিৎসার খোঁজ নিয়েছিলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবও পীযূষবাবুকে ফোন করেছিলেন এবং দোষীকে শীঘ্র গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ শুরু থেকেই ওই ঘটনায় কংগেসের গোষ্ঠী কোন্দলের পরিণাম বলে দাবি করছিল শাসক দল বিজেপি৷ কিন্তু কংগ্রেস ওই ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করে ত্রিপুরায় গত সোমবার ১২ ঘণ্টার বনধ পালন করেছে৷
অবশ্য, ত্রিপুরাবাসী ওই বনধকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন৷ ওই ঘটনায় ইতিপূর্বেই তিনজনকে আটক করা হয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার আগরতলা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রকৃত মাস্টার মাইন্ড জয়দুল হুসেনকে৷ অভিযুক্ত জয়দুল হুসেনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩২৫, ৪২৭, ৩০৭, ৩৪ ও ১২০(বি) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷ তিনি কংগ্রেস দলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি পদে রয়েছেন৷ ওই ঘটনায় আক্রান্ত প্রদেশ সভাপতি শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিশালগড় থানায় মামলা করেছিলেন৷ আজ এয়ারপোর্ট থানা থেকে বিকেলে জয়দুল হুসেনকে বিশালগড় মহকুমা আদালতে সোপর্দ করা হয়৷ আদালত তাকে জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে৷ তার পক্ষে দুই আইনজীবী জামিনের আবেদন নিয়ে আদালতে সওয়াল করলেও আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে৷ শুক্রবার ফের তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে৷(হি.স.)