বিবিসি জানায়, ওয়াশিংটন শহরের বেশিরভাগ অংশেই চলাচল আটকে দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা পরিকল্পনার নেতৃত্বে আছে সিক্রেট সার্ভিস, যাদের সঙ্গে যোগ হয়েছে ১৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য। নিয়োজিত আছেন অতিরিক্ত হাজার হাজার পুলিশ অফিসার।
কংগ্রেস ভবনে হামলার পরই ওয়াশিংটন ডিসিতে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে, অভিষেক শেষ হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থার নেতৃত্বে রয়েছেন এজেন্ট ম্যাট মিলার। গত শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে এই অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পেনসিলভানিয়া অ্যাভিনিউ ঢেকে গিয়েছে মার্কিন পতাকায়। হোয়াইট হাউস থেকে ক্যাপিটল হিল, ন্যাশনাল মল- সর্বত্র কড়া পাহারা। হোয়াইট হাউসের চারদিকে ধাতব বেড়া দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা সশস্ত্র বিক্ষোভের হুমকি দিয়েছে। এফবিআই সতর্কতা দিয়েছে, প্রেসিডেন্টের অভিষেককে ঘিরে ৫০ অঙ্গরাজ্যে অস্ত্র মহড়ায় নামতে পারে উগ্রবাদী দক্ষিণপন্থীরা।
ক্যাপিটলের মতো আরেকটা তাণ্ডব যাতে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথের দিন না ঘটে, সেদিকে কড়া নজর মার্কিন প্রশাসনের।সাধারণত যেখানে হাজার হাজার মানুষ অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে, সেখানে বাইডেনের শপথ গ্রহণ দেখার জন্য গুটিকয়েক মানুষকে ক্যাপিটলের সামনের ন্যাশনাল মলে আসতে দেওয়া হবে। করোনাভাইরাস এর একটি কারণ।