সদভাবনা যাত্রা আমাদের সংহতিবোধকেই সমৃদ্ধ করবে : মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২১ জানুয়ারি।। সংস্কৃতি ও সংহতির সাথে স্বনির্ভরতাই সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজ গঠনের পাশাপাশি রাজ্যকে অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে পারে৷ আজ আগরতলার উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে যুব বিকাশ কেন্দ্র এবং ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেটেড ফোরাম অব আর্টিস্ট অ্যাণ্ড অ্যাক্টিভিস্টস (নিফা) ত্রিপুরা শাখার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সদভাবনা যাত্রা ২০২১-র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী ফ্ল্যাগ অফ করে এই সদভাবনা যাত্রার সূচনা করেন৷ তিনি বলেন, দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সবার সম্যক ধারণা থাকা দরকার৷

এতে মানুষের মধ্যেন সংহতিবোধ গড়ে উঠে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যুব বিকাশ কেন্দ্রের সদস্যরা সারা দেশ ভ্রমণের মধ্য দিয়ে আমাদের রাজ্যের কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি সমগ্র দেশের গ্রামীণ পরিবেশের বাস্তব চিত্র ও দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন৷ এই সদভাবনা যাত্রা আমাদের সংহতিবোধকেই সমৃদ্ধ করবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের কৃষ্টি, সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ বিশ্বের মানচিত্রে ভারতের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে তুলে ধরার প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পূর্বে আধুনিক ভারত গঠনের স্বপ দেখেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই মন্ত্রকে পাথেয় করে নতুন ভারত গড়ে তোলার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন৷

শক্তিশালী, সমৃদ্ধশালী, স্বাভিমানি ভারত হিসেবে বিশ্বের দরবারে ভারতবর্ষকে তিনি তুলে ধরেছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে৷ মানুষের মধ্যে স্বনির্ভর হওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর ভোকাল ফর লোকালের আহ্বানে সারা দিয়ে মানুষ স্বনির্ভরতার দিকে অগ্রসর৷ পাশাপাশি মানুষকে দেশপ্রেম ভাবনায় জাগিয়ে তুলছেন৷ রাজ্য সরকারও স্বনির্ভরতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে৷ অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তার সংহতি৷ এদেশে পৃথক পৃথক সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম, অঞ্চল থাকা সত্বেও আমরা এক ও অভিন্ন ভারতবাসী৷

এই বার্তার পাশাপাশি ত্রিপুরার সমৃদ্ধশালী সংস্ক’তি ও পর্যটনকে বহির্রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সদভাবনা যাত্রার উদ্যোগ নেওয়ায় তিনি আয়োজকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরা ছোট রাজ্য হলেও এ রাজ্যের সংস্কৃতির একটা ঐতিহ্য রয়েছে৷ প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মিশ্র সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে আমাদের রাজ্যে৷ অনুষ্ঠানে জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া বলেন, সদভাবনা যাত্রায় অংশগ্রহণকারী রাজ্যের যুবারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিক্রমা করে বিভিন্ন বিষয়ে অভি’তা অর্জন করবেন৷

পাশাপাশি শান্তি, ভালোবাসা এবং অখণ্ডতার বার্তা তারা সারা দেশে ছড়িয়ে দেবেন৷ একই সঙ্গে তিনি তাদের নিরাপদ যাত্রাও কামনা করেন৷ অনুষ্ঠানে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেটেড ফোরাম অব আর্টিস্ট অ্যাণ্ড অ্যাক্টিভিস্টস-এর চেয়ারম্যান প্রীতপাল সিং পন্নু৷ স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব বিকাশ কেন্দ্রের সভাপতি দেবাশিস মজমদার৷ উল্লেখ্য, এই সদভাবনা যাত্রায় অংশগ্রহণকারী রাজ্যের যুবকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত পরিক্রমা করে রাজ্যের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, পর্যটনকে যেমন তুলে ধরবেন তেমনি ২০২২ সালে ত্রিপুরা পূর্ণরাজ্য দিবসের সুুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের বার্তাও পৌঁছে দেবেন৷

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?