সমস্ত মানুষের সমস্যা সমাধান করতে পারেনি। তবে ২৫ বছরে পূর্বের সরকার এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি যে জনস্বার্থ বিরোধী হবে। কেন্দ্রে পূর্বের সরকার যেমন রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা করেনি, একইভাবে বিজেপি সরকারও ২০১৪ সালের পর কোন সহযোগিতা করেনি রাজ্য সরকারকে। কিন্তু বর্তমান সরকার যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিল সেটা বাস্তবায়িত হলে সমর্থন করবে বিরোধি দল। কিন্তু জনস্বার্থ বিরুদ্ধে কাজ করলে বিধানসভায় বাহিরেও বিরোধিতা করবে বিরোধী দল। জনস্বার্থ বিষয় তুলে ধরা হবে। জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত প্রতিহত করতে ময়দান মুখী হবে বিরোধীরা বলে জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। বিরোধী দল যাতে কথা বলতে না পারে তার জন্য প্রচেষ্টা করছে শাসকদলের দুর্বৃত্তরা। সরকার কোন কথা শুনছে না। নাগরিকদের অধিকার খর্ব করছে। সরকারের কাছে বারবার যাওয়ার দরকার নেই। তাই রাজ্যপালের কাছে ১৮ জানুয়ারি ৭ টি দাবি নিয়ে বিরোধী পরিষদীয় দল গিয়েছিলেন।
রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরা হয় রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি। বলা হয় মানুষকে বাঁচতে গেলে গণতন্ত্র লাগে। জোট সরকারের ৩৩-৩৪ মাসে কোন গনতন্ত্রের গলা টিপে ধরেছে। এতে কি আপনি সন্তুষ্ট ? জিজ্ঞাসা করা হয় রাজ্যপালকে। বিরোধী দলের যুবকদের মিছিলে আক্রমণ, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস আক্রান্ত। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আক্রান্ত। তাদের বাড়িঘরে আক্রমণ চলেছে। তারা নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে যেতে পারছেন না। রাজ্যপাল এটা শুনে বলেন এটা হতে পারে না। দুষ্কৃতিদের এই ধরনের আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। নারী নির্যাতন থেকেও রেহাই পাচ্ছে না রাজ্য। নারীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই।পূর্বে তো এমন ছিলনা রাজ্য ! এদিকে পরিষদীয় দলের উপনেতা বাদল চৌধুরি বক্তব্য রেখতে গিয়ে প্রথমেই প্রশ্ন তুলেন সাংবাদিকরা কেমন আছে ২০১৮ সালের পর ? দুজন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে ছিল ২০১৮ সাল। কিন্তু তিন বছরে কি হয়েছে তাদের বিচার ব্যবস্থা? রাজ্যের সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বিচার হয়েছে কি? পুলিশ দল দাসে পরিণত হয়ে গেছে।
তাদের নিজেদের জিজ্ঞাসা করা দরকার তারা কি মর্যাদা পাচ্ছে? পুলিশের ভূমিকা নিরপেক্ষতার। কিন্তু পুলিশ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। এদিকে ১০,৩২৩ -এর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্থায়ী সমাধান করেন নি। দীর্ঘ ৪৫ দিন ধরে গন অবস্থানে বসে আছে তারা। তাদের সাথে কোনো প্রশাসনিক আধিকারিক পর্যন্ত দেখা করতে যায় নি। সরকার প্রতিশ্রুতি পালন করছে না। তাই ময়দানমুখী হয়ে প্রতিবাদ জানানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই। এতে সরকারকে সঠিক দিশা দেখানোর সম্ভব হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। বৈরী তৎপরতা প্রসঙ্গ টেনে বলেন রাজ্যে জঙ্গী তৎপরতা রদ করতে টিএসআর -এর আত্ম প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যে এখন যখন জঙ্গী তৎপরতা পুনরায় শুরু হয়েছে তখন টিএসআর জওয়ানদের রাজ্য ছাড়া করছে এই সরকার বলে সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেন তিনি। সভায় এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ভানুলাল সাহা, তপন চক্রবর্তী, বিজিতা নাথ সহ অন্যান্য অধিকাংশ বিরোধী দলের বিধায়ক।