অনলাইন ডেস্ক, ২১ জানুয়ারি।।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেকের পর সারা বিশ্বনেতাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা পাচ্ছেন জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
সিএনএন জানায়, বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন বাইডেন। তার আগে মার্কিন ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন কমলা।
এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের প্রতি বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন আসতে থাকে একের পর এক।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, ‘অভিষেকের জন্য আপনাদের প্রতি শুভেচ্ছা প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। সর্বজনীন মূল্যবোধ ও বন্ধনের মাধ্যমে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অটল থাকবে। ’
চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন জো বাইডেন। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি কোনো সীমানা মানে না। আমি রাষ্ট্রপতি বাইডেনকে মঙ্গল কামনা করছি। ’
প্রতিবেশী মেক্সিকোর সঙ্গে অভিবাসন ইস্যুতে বিরোধ ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের। বাইডেনের প্রতি মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস মানুয়েল লোপেস ওব্রাদোরের শুভেচ্ছায় বার্তায়ও বিষয় উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারি, অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার এবং অভিবাসন নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকোর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মূল বিষয় হবে। ’ যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত মেক্সিকান অভিবাসীদের নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবেন বাইডেন এমনটাই আশা করেন তিনি।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নেতৃত্বকে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং জলবায়ুসহ নানা ইস্যুতে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মার্কিন নতুন প্রশাসনের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের অভিষেক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠিন এ সময়ে এক পা এগিয়ে যাওয়া। এটা যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের জন্যইও বড় মুহূর্ত। যাদের একই এজেন্ডা রয়েছে। ’
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, ‘এখন সময় একই সঙ্গে কাজ করার। এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন। আমরা সব সময় সব বিষয়ে একমত হতে পারবো না। তবে কখনোই সঙ্কটের সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা আমরা ছেড়ে দিতে পারি না। ’
বাইডেনকে আয়ারল্যান্ডের ‘প্রকৃত বন্ধু’ বলে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন। তিনি বলেন, ‘আজ আয়ারল্যান্ডের একজন প্রকৃত বন্ধু জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। আমি আমাদের দুই মহান দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার অপেক্ষায় আছি। ’
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন বাইডেন ও কমলার প্রতি। বাইডেনের প্রতি এক চিঠিতে তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিকভাবে ও বিশ্বজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব। ’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের প্রতি একাধিক টুইট করেছেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণের জন্য জো বাইডেনকে উষ্ণতম অভ্যর্থনা। ভারত-আমেরিকার কৌশলগত সম্পর্ককে মজবুত করতে তার সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি। ’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান বলেন, ‘অভিষেকের জন্য জো বাইডেনের প্রতি শুভেচ্ছা জানাই। বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সংযুক্ততা, জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রতিরোধ করা, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি করা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং আঞ্চলিক ও এর বাইরেও শান্তি উন্নীত করার মধ্য দিয়ে পাক-মার্কিন সম্পর্ক শক্তভাবে এগিয়ে যাবে। ’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের উরসুলা ভন দের লিয়েন বলেন, ‘অনেক বছর পর হোয়াইট হাউসে একজন বন্ধু পেল ইউরোপ। ’
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নেতৃত্ব দেশে শান্তি, সংহতি, পারষ্পরিক বোঝাপড়া, সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনুক এমন মঙ্গলকামনা করেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।