মৃত শিশুটি উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধর্থনগর জেলার সাহেরিখাস গ্রামের বাসিন্দা। সেনেগাঁও পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিশুটির চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার বিমানে করে লখনউ থেকে মুম্বই নিয়ে আসা হচ্ছিল। কিন্তু মাঝ আকাশে ওই শিশুটি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। ওই শিশুটির মা বাবা অত্যন্ত গরিব। মেয়ের শারীরিক সমস্যার কথা ঠিকমত জানাতেও পারেনি তারা।
সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, মেয়েটির শরীরে রক্ত ছিল না। কিন্তু মেয়েটির বাবা তা বুঝতে পারেননি। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, মেয়েটির বাবা যদি তাদের সমস্যার কথা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানাতেন তবে তারা কখনই ৮ থেকে ১০ গ্রাম হিমোগ্লোবিনের নিচে থাকা শিশুকে বিমান ভ্রমণের অনুমতি দিত না। অসুস্থ ওই শিশুটির হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ছিল মাত্র ২.৫ গ্রাম। আকাশপথে সফরের সময় শিশুটির শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়।
শিশুটির অসুস্থতার জন্য এই বিমানটি বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। শিশুটিকে তড়িঘড়ি স্থানীয় সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঠিক কি কারণে ওই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে সোনেগাঁও পুলিশ ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। শুরু করেছে তদন্ত।