জানা গিয়েছে, নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে স্থান সংকটের কারণেই মূর্তিটি সরানো হয়েছে। কাজের জন্য যাতে মূর্তির গায়ে কোনও রকম আঘাত না লাগে সে জন্যই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মূর্তিটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে মূর্তি সরানোর আগে সব রাজনৈতিক দলকেই বিষয়টি জানানো হয়েছিল। যদিও সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, বাজেট অধিবেশনের দুই অর্ধের মধ্যবর্তী এক মাস সময়ের মধ্যে যে কোনও দিন ওই মূর্তি সরান হবে।
সাধারণত বাজেট অধিবেশন দুই পর্বে হয়ে থাকে। প্রথম পর্ব ও দ্বিতীয় পর্বের মধ্যে প্রায় একমাস সংসদ বন্ধ থাকে। ওই সময়ের মধ্যেই মূর্তি সরানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বাজেট অধিবেশন শুরুর আগেই সরিয়ে নেওয়া হল মূর্তি। সংসদ ভবনের সামনে ওই গান্ধির মূর্তিটি ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি। মূর্তির উচ্চতা ১৬ ফুট। বিশিষ্ট শিল্পী রাম সুতার মূর্তিটি নির্মাণ করেছিলেন।
স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিরোধীরা এই মূর্তির পাদদেশে ধরনা ও প্রতিবাদ জানান। সম্প্রতি কৃষি বিল পাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মূর্তির পাদদেশে রাত কাটান সাংসদরা। এই মুহূর্তে সংসদ ভবনের তিন নম্বর গেটের কাছে গান্ধির মূর্তিটি বসানো হয়েছে। সাধারণত এই তিন নম্বর গেট দিয়ে সংসদে প্রবেশ করেন লোকসভার অধ্যক্ষ। পূর্ত মন্ত্রকের নজরদারিতে গান্ধি মূর্তি সরান ও প্রতিস্থাপনের কাজ করা হয়েছে। নতুন সংসদ ভবনের কাজ শেষ হলে একটি উপযুক্ত জায়গাতেই গান্ধি মূর্তি বসান হবে।