আজাদ হিন্দ সরকারের জাতীয় সংগীতের সুরকার ছিলেন রবীন্দ্রনাথ

অনলাইন ডেস্ক, ১৯ জানুয়ারি।। ব্রিটিশের নাগপাশ থেকে ১৯৪৭-এ মুক্ত হয়েছিল ভারত। কিন্তু তার অনেক আগেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে সিঙ্গাপুরে গঠিত হয়েছিল স্বাধীন আজাদ হিন্দ সরকার। আজাদ হিন্দ সরকারের একটি জাতীয় সংগীতও তৈরি করা হয়েছিল। সেই গানের সুরকার ছিলেন স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

এবার ২৩ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী পালন করা হবে। তার আগে সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ সরকার সম্পর্কে কিছু জেনে নেওয়া যাক। ১৯৪১ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে জিয়াউদ্দিনের ছদ্মবেশে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন নেতাজি।

প্রথমে জার্মানি গিয়ে সেখানকার যুদ্ধবন্দীদের নিয়ে একটি বাহিনী তৈরি করেন। কিন্তু ভৌগলিক কারণে অতদূর থেকে লড়াই করা সম্ভব ছিল না। তাই নেতাজি চলে আসেন জাপানে। জাপানে রাসবিহারী বসু তাঁর হাতে আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্ব সমর্পণ করেন।

একই সঙ্গে জাপান সরকারও নেতাজিকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সাহায্যের আশ্বাস দেয়। ১৯৪৩-এর ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের ক্যাথে সিনেমা হলে তৈরি হয়েছিল আজাদ হিন্দ সরকার। আজাদ হিন্দ সরকারের জাতীয় সংগীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ভারত ভাগ্য বিধাতা’ কবিতা অনুসারে তৈরি করা হয়েছিল।

আজাদ হিন্দ সরকারের সেই জাতীয় সংগীত হল ‘শুভ সুখ চৈন কি বরখা বরষে ভারত ভাগ্য হৈ জাগা’। জাতীয় সঙ্গীতের স্বরলিপি তৈরি করেছিলেন অম্বিক জুমদার এবং স্বরগ্রাম রচনা করেছিলেন ক্যাপ্টেন রামসিং ঠাকুর।

গানটি রচনা করেছিলেন আজাদ হিন্দ রেডিওর অন্যতম লেখক মমতাজ হুসেন এবং আজাদ হিন্দ বাহিনীর কর্নেল আবিদ হুসেন। বিশ্বকবির ‘জন গণ মন’ থেকে হিন্দুস্থানী সুরে এই গানটি তৈরি করেছিলেন তাঁরা। গানটি পিয়ানোয় বাজিয়ে শোনান হয়েছিল নেতাজিকে।

তবে শুধু পৃথক জাতীয় সংগীতই নয়, আজাদ হিন্দ সরকার পৃথক ডাকটিকিট এবং নোটও ছাপিয়েছিল। তৈরি হয়েছিল আজাদ হিন্দ ব্যাঙ্ক। তৈরি হয়েছিল বিদেশি দূতাবাস কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই সরকার বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?