জানা গিয়েছে শিশু বিক্রির ওই চক্রটি মূলত সদ্যোজাত শিশুদের বিক্রি করত। শিশুদের দর ছিল ৬০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে। সাধারণত মেয়ে হলে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আর ছেলে হলে এক থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করা হত। এমনকি যাদের শিশু বিক্রি করা হত সেই পরিবারকে দেওয়া হত শংসাপত্র। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে মুম্বই পুলিশ এক ডাক্তার-সহ নয় জনকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গিয়েছে সম্প্রতি বান্দ্রা রেলস্টেশন সংলগ্ন খেরওয়াদির এক মহিলা তাঁর শিশুকে বিক্রি করেন। ওই শিশুটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জানতে পারে ওই মহিলা আগেও তাঁর এক সন্তান বিক্রি করে দিয়েছিলেন। ওই মহিলার দুই সন্তানকে বিক্রি করা হয়েছিল মুম্বই ও পুণেতে। মহিলার কাছ থেকে পুলিশ এক আর এক এজেন্টের হদিশ পায়। তাকে জেরা করে জানা যায় আরও এক মহিলার কথা।
যে খেরওয়াদির ওই মহিলার সন্তানকে বিক্রি করেছিল। জানা গিয়েছে, এই চক্রটি এখনও পর্যন্ত প্রায় দশটি শিশু বিক্রি করেছে। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, শিশু বিক্রির এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আশা করা যায়, অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলবে। খুব শীঘ্রই শিশু বিক্রির এই চক্রের সকলকেই গ্রেফতার করা হবে। যে সব পরিবারকে শিশু বিক্রি করা হয়েছে তাদেরও জেরা করবে পুলিশ।