অনলাইন ডেস্ক, ১৮ জানুয়ারি।। আগের তুলনায় রাজ্যসভায় আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার অনেকটাই বেড়েছে। রাজ্যসভার সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, আগের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি ব্যবহার হয়েছে আঞ্চলিক ভাষা। ২০১৮ থেকে ২০২০-র মধ্যে আঞ্চলিক ভাষার মধ্যে দশটি ভাষা প্রথমবারের জন্য রাজ্যসভায় ব্যবহার করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভাষার মধ্যে পঞ্চম স্থানে আছে সংস্কৃত।
শেষ দু’বছরে যে সমস্ত আঞ্চলিক ভাষা রাজ্যসভায় ব্যবহার রয়েছে তার মধ্যে প্রথমেই আছে হিন্দি। তারপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে তেলুগু, উর্দু, তামিল ও সংস্কৃত। প্রতিটি ভাষা উচ্চকক্ষের আঞ্চলিক ভাষার তালিকায় আছে।
সচিবালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২০-র মধ্যে ১৩৫ বার আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। যার মধ্যে বিভিন্ন বিতর্কে ৬৬ বার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা হয়েছে। ৬২ বার জিরো আওয়ারে এবং সাতবার বিভিন্ন বিশেষ মুহূর্তে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
১৯৫২-র পর এই প্রথমবারের জন্য রাজ্যসভায় ব্যবহার করা হয়েছে কাশ্মীরি, কোঙ্কনি, সাঁওতালি ও ডোগড়ি ভাষা। এই চারটি ভাষা ছাড়াও বিগত দুই বছরে বোরো, অহমিয়া, গুজরাতি, মণিপুরী, মৈথিলী, নেপালি ভাষাও বেশ কয়েকবার রাজ্যসভায় ব্যবহার হয়েছে। এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই রাজ্যসভায় আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার বেড়েছে।
২০১৭-য় দায়িত্ব নেওয়ার পরে নাইডু সাংসদদের অনুরোধ করেছিলেন, তাঁরা যেন নিজেদের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন। মাতৃভাষাকেই প্রাধান্য দেন। এতদিন রাজ্যসভায় মূলত ইংরেজি ও হিন্দিতে কথা বলা হত। কিন্তু ২০১৭-র পর থেকে হিন্দি ছাড়া বাকি ২১ টি আঞ্চলিক ভাষা পাঁচগুণ বেশি ব্যবহার হয়েছে।
রাজ্যসভার সদস্যরা ১০টি আঞ্চলিক ভাষায় ২৬৯ বার কথা বলেছেন। শুধু মাত্র ২০২০ তেই ৪৯ বার নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার করেছেন সদস্যরা। আগের থেকে যা ৫১২ শতাংশ বেশি।