এদিন ট্রেন উদ্ধোধনের অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, “কেভাডিয়া আজ গুজরাতের প্রত্যন্ত এলাকার কোনও ছোট ব্লক নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে তার উত্থান হয়েছে। স্ট্যাচু অফ লিবার্টির তুলনায় বেশি মানুষ স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখতে এসেছেন। উদ্বোধনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৫০ লক্ষ মানুষ এসেছেন। করোনা মহামারির জন্য মাসের পর মাস সব বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কেভাডিয়াতে পর্যটক সমাগম দ্রুত বাড়ছে।“ কেভাডিয়ার কথায় মোদি আরও বলেন, “একটি সমীক্ষায় অনুমান করা হচ্ছে যে সংযোগ বাড়ার সঙ্গেই প্রতিদিন এক লক্ষেরও বেশি মানুষ কেভাডিয়ায় আসবেন৷ পরিবেশ সংরক্ষণের সঙ্গেই কীভাবে পরিকল্পিত ভাবে অর্থনীতি ও বাস্তুশাসনের বিকাশিত হতে পারে, তার উদাহরণ এই ছোট্ট, সুন্দর কেভাডিয়া৷” মোদি এদিন যে আটটি ট্রেনের উদ্বোধন করলেন সেগুলি হলঃ কেভাডিয়া-বারাণসী, কেভাডিয়া-দাদর, কেভাডিয়া-আহমেদাবাদ, কেভাডিয়া-হজরত নিজামুদ্দিন, কেভাডিয়া-রেওয়া, কেভাডিয়া-এমজিআর স্টেশন, কেভাডিয়া-প্রতাপনগর মেমু ও প্রতাপনগর-কেভাডিয়া মেমু। এর মধ্যে আমেদাবাদ থেকে কেভাডিয়া পর্যন্ত চলবে অত্যাধুনিক জনশতাব্দী এক্সপ্রেস৷
এদিন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দক্ষিণী সুপারস্টার প্রয়াত এমজি রামচন্দ্রণেরও জন্মবার্ষিকী। সেই কথা মাথায় রেখেই কেভাডিয়ার সঙ্গে চেন্নাইয়ের এমজি রামচন্দ্রণ স্টেশন থেকেও ট্রেন চালু করা হল। মোদি জানান, অভিনয় থেকে রাজনীতি সব জায়গায় নিজের ছাপ রেখে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় নিজের জায়গা করে নেন এমজিআ। তাঁর অবদানের কথা মাথায় রেখেই চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনের নাম পাল্টে এমজিআরের নামে করা হয়েছে বলেও জানেন তিনি। তাঁর আরও সংযোজন, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বাড়ার ফলে পর্যটকদেরই শুধু সুবিধা হবে না, এখানে চাকরির সুযোগও গড়ে উঠবে।