অনলাইন ডেস্ক, ১৮ জানুয়ারি।।একজন নার্সের টিকা গ্রহণের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করলো ব্রাজিল। এর আগে দুইটি টিকার অনুমোদন দেয় দেশটির নিয়ন্ত্রণ সংস্থা অ্যানভিসা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, রবিবার যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও চীনের সিনোভ্যাকের দুইটি টিকা নিয়ে সবুজ সংকেত দেয় অ্যানভিসা। এর কিছুক্ষণ পরেই এক নার্সকে প্রথম ডোজ দেয়া হয়।
মনিকা ক্যালাজানস নামে ৫৪ বছর বয়সী ওই নার্স সাও পাওলোর বাসিন্দা। তাকে সিনোভ্যাকের তৈরি করোনাভ্যাক টিকা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
করোনাভ্যাকের ৬০ লাখের মতো ডোজ ব্রাজিলেই প্রস্তুত করা হয়েছে। অন্যদিকে অক্সফোর্ডের টিকার ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ডের জন্য অপেক্ষা করছে দেশটি। ইতিমধ্যে ভারতকে টিকা কেনার টাকাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যদিও নানা দেন-দরবার করে দ্রুত টিকা পেতে চাইলে ভারত এতে রাজি হয়নি। ফলে ভারত থেকে টিকা পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে ব্রাজিলকে।
কোভিশিল্ডের অপেক্ষা না করে করোনাভ্যাক দিয়ে টিকাদান শুরু করেছে লাতিন আমেরিকার দেশটি। দেশটির ২৭ রাজ্যে সবগুলোতেই টিকার ডোজ পাঠানো হবে বলে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা জানায়।
আরও কয়েকটি দেশের মতো ব্রাজিলেও করোনাভ্যাকের ট্রায়াল হয়। ট্রায়ালে যুক্ত থাকা ব্রাজিলের বুটানান ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা দাবি করেন, চীনা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা সিনোব্যাকের বানানো টিকার ৫০.৪ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে অনুমোদনের জন্য কার্যকারিতা ৫০ শতাংশই যথেষ্ট।
বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তালিকায় ব্রাজিলের অবস্থান দ্বিতীয়। এখন পর্যন্ত দেশটিতে দুই লাখ ১০ হাজারের মতো মানুষ মারা গেছেন। মোট শনাক্তের সংখ্যা ৮৫ লাখের কাছাকাছি।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো, ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যামিলটন মৌরাওসহ দেশটির শীর্ষ অনেক রাজনৈতিক নেতা করোনায় আক্রান্ত হন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর অবহেলাকে দায়ী করা হয়।
এর মধ্যে নতুন স্ট্রেইনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে চাপের মুখে আছে সরকার। প্রতিবেশী দেশগুলোও টিকাদান শুরু করে দিয়েছে আগেই। ফলে টিকা দিতে দেরি হওয়াও সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বলসোনারো।