ওই কারাগারেই গত বছরের নভেম্বরে উইরাথুকে গ্রেপ্তারের পর রাখা হয়েছে। তাকে এখনও আদালতে নেওয়া হয়নি বা মামলার রায় দেওয়া হয়নি। পুলিশ জানায়, তারা বিক্ষোভ ভাঙতে সেখানে যাননি। বিক্ষোভকারীরাই পুলিশকে প্ররোচিত করেছে। এ কারণে একজনকে আটকও করা হয়েছে।
ইনসেইন থানার প্রধান টিন ল্যাট রয়টার্সকে বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছিলাম। তাদের মধ্যে একজন খুবই অভদ্রভাবে আমাদের সঙ্গে কথা বলে মারামারি করতে শুরু করেছিল। প্রায় ৫০ জনের ওই বিক্ষোভ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।
আশ্বিন উইরাথু মুসলমিমবিরোধী, বিশেষত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বক্তব্যের জন্য পরিচিত। তিনি অং সান সু চি-র বেসামরিক সরকারের সমালোচক ও মিয়ানমারের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সমর্থক।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক ভিক্ষু সাংবাদিকদের বলেন, তিনি (আশ্বিন উইরাথু) সাহসের সঙ্গে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তবে তাকে আদালতে আনা হয়নি বা রায় দেওয়া হয়নি। পুলিশি হেফাজতে থাকা অন্য বন্দিদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে জানান তিনি।
গত বছর দেশদ্রোহিতার এক মামলায় ইয়াঙ্গুনের একটি আদালত আশ্বিন উইরাথুকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন। দোষী সাব্যস্ত হলে তার তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এক বছরেরও বেশি সময় পলাতক থাকার পর আত্মসমর্পণ করেন উইরাথু।