ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, প্লেনটি শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পিনাসের ভেরাকোপস বিমানবন্দর থেকে ভারতের দিকে যাত্রা শুরু করে। একবার যাত্রাবিরতি দিয়ে মুম্বাইতে পৌঁছাতে ১৫ ঘণ্টার মতো সময় লাগার কথা।
প্লেনটি ঠিক কখন পৌঁছাবে সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কবে ফিরবে তাও স্পষ্ট নয়। এই মুহূর্তে টিকা যাবে কি না, সে বিষয়েও নিশ্চিত কোনো খবর নেই। কারণ বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশকে ভারত জানিয়েছে টিকা পাঠাতে একটু দেরি হতে পারে।
ব্রাজিল সরকার দিল্লির দূতাবাসের মাধ্যমে ভারত সরকারের সঙ্গে বারবার টিকার জন্য যোগাযোগ করছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসনারো মোদিকে একটি চিঠিও লিখেছেন দ্রুত টিকা দিতে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভারতের টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ততা চলছে, তার প্রস্তুতি চলছে, এখনো সব জায়গায় পুরো ডোজ পৌঁছায়নি। সুতরাং এই মুহূর্তে অন্য দেশের অনুরোধ মানা সম্ভব হবে না। ’ব্রাজিল সরাসরি সেরাম থেকে করোনার টিকা কিনবে। ইতিমধ্যে তারা দামও মিটিয়ে দিয়েছে।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগে বলেছিল, ১৬ জানুয়ারি টিকা নিয়ে তাদের বিশেষে কন্টেইনারবাহী উড়োজাহাজ দেশে ফিরবে। পরে বৃহস্পতিবার তারা জানায়, ফেরার দিনতারিখ এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।