স্থানীয় মানুষ তো বটেই বহু পর্যটক জমে যাওয়াকে লেকে অবাধেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ২৫ বছর পর এই প্রথম শ্রীনগরে তাপমাত্রা নেমে এলো -৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল ঠান্ডায় ডাল লেক একেবারে জমে বরফ হয়ে গিয়েছে। এই বরফ হয়ে যাওয়া লেকে কেউ হাঁটছেন, কেউবা সেখানে আনন্দে নাচছেন। কেউবা খেলছে ক্রিকেট। তবে শুধু শ্রীনগর নয়, গোটা কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকাতেই তাপমাত্রা মাইনাস ৫-৬ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। গুলমার্গ, পহেলগাঁও, কাটরা, কুপওয়ারার মতো বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে মাইনাস ডিগ্রীর নিচে।
অন্যদিকে আর এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখেও প্রবল ঠান্ডায় জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কারগিলে তাপমাত্রা নেমে এসেছে মাইনাস ১৬ ডিগ্রিতে। লাদাখের অন্যান্য অংশও বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে। প্রবল ঠান্ডা সেই সঙ্গে কনকনে বাতাসের কারণে মানুষ একেবারে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের বেশিরভাগ এলাকা বরফে সাদা হয়ে গিয়েছে।
হিমাচল প্রদেশের কুলু, মানালি, রোটাং পাস, কিন্নর, কল্পা, সাংলা, ধর্মশালার মত এলাকা বরফে ঢেকে গিয়েছে ওই সব জায়গায় তাপমাত্রা মাইনাস ৫-৬ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডের কেদার, বদ্রী, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রীর মত এলাকাতেও তাপমাত্রা নেমেছে মাইনাস ৫ ডিগ্রিতে। এছাড়াও গুপ্তকাশী, উখিমঠ, যোশীমঠে তাপমাত্রা মাইনাসে নেমে এসেছে। প্রবল ঠান্ডার কারণে উত্তরাখন্ড ও হিমাচল প্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন।
রাস্তাঘাট বরফে ঢেকে যাওয়ায় যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দ্রুত বরফ পরিষ্কার করে রাস্তা গাড়ি চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা চলছে। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরও কয়েকদিন এই আবহাওয়ায় চলতে থাকবে। অর্থাৎ এখনই প্রবল শীতের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না এই সমস্ত এলাকার মানুষ।