গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ায় একটা বড় ভূমিকা রয়েছে মহিলা স্বসহায়ক দলের : উপমুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ জানুয়ারি।। ভারতবর্ষকে আত্মনির্ভর করতে গ্রামীণ অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে সুুদৃঢ় করতে হবে৷ এজন্য গ্রামীণ মহিলাদের স্বশক্তিকরণের উপর অগ্রাধিকার দিতে হবে৷ রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ায় একটা বড় ভূমিকা রয়েছে মহিলা স্বসহায়ক দলের৷ তাদের আর্থ-সামাজিক মানোন্নয়ন হলেই আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে উঠবে৷

আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১ নং হলে ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের স্বসহায়ক দলের জন্য আজীবিকা গ্রামীণ এক্সপ্রেস যোজনা এবং মেগা ক্রেডিট ক্যাম্পের উদ্বোধন করে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা এই কথাগুলি বলেন৷ তিনি মহিলা স্বসহায়ক দলগুলির আরও সমৃদ্ধি কামনা করে বলেন, এতোদিন রাজ্যের এই স্বসহায়ক দলগুলি ছন্নছাড়া অবস্থায় ছিলো৷ কিন্তু বর্তমানে ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের সৌজন্যে রাজ্যের স্বসহায়ক দলগুলি সুুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে চলছে৷

তিনি রাজ্যের স্বসহায়ক দলগুলির অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রাজ্য সরকার চায় রাজ্যের প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি ঘরের মহিলাগণ এই স্বসহায়ক দলগুলিকে নির্ভর করে স্বনির্ভর হয়ে উঠুক৷ তাদের উন্নয়নে সরকার সর্বদা পাশে থাকবে৷ স্বসহায়ক দলগুলির মাধ্যমে রাজ্যে মহিলা স্বশক্তিকরণের আন্দোলন গড়ে উঠবে৷ এই আন্দোলন হবে রাষ্ট্র নির্মাণের আন্দোলন৷ এই আন্দোলন হবে আত্মনির্ভর দেশ ও রাজ্য গড়ে তোলার আন্দোলন৷

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক বলেন, গত বছর সারা বিশ্বের সাথে আমাদের দেশও কোভিড-১৯ মহামারিতে আক্রান্ত হয়৷ তখন সারা দেশে লকডাউন শুরু হয়৷ এই লকডাউনে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ জীবিকা মিশনের ঘোষণা দেন৷ তখন সারা দেশের সাথে এ রাজ্যেও এই মিশনের কর্ময’ শুরু হয়৷

দেশকে আত্মনির্ভর করার লক্ষ্যে গ্রামীণ স্বসহায়ক দলগুলিকে মিশন তখন মাস্ক ও স্যানিটাইজার তৈরি করার পরামর্শ দেয়৷ স্বসহায়ক দলগুলি সেই পরিকল্পনা মতো কাজ করে৷ এজন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সমাজকে দুর্যোগপূর্ণ সময়ে কিছু দেওয়ার জন্য গ্রামীণ স্বসহায়ক দলের মহিলাগণ বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছেন৷

নঅনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব সৌম্যা গুপ্তা৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন গ্রামীণ জীবিকা মিশনের কার্যনির্বাহী আধিকারিক বিকাশ সিং৷ ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন গ্রামীণ জীবিকা মিশনের মুখ্যকার্যনির্বাহী আধিকারিক রঞ্জিৎ দাস৷

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা কো-অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান কমলকান্তি সেন এবং ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার মণিপ্রসাদ হাজরা৷ অনুষ্ঠানে রাজ্যের ৯৭৩টি স্বনির্ভর দলকে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ইউকো ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইণ্ডিয়া এবং ব্যাঙ্ক অব ইণ্ডিয়ার মাধ্যমে ১৪ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা ঋণ মঞ্জুরিপত্র দেওয়া হয়৷

এছাড়া ২০টি স্বসহায়ক দলকে বিনা সুুদে ২০টি সামগ্রী পরিবহণযোগ্য গাড়ি দেওয়া হয়৷ উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা ও অন্যান্য অতিথিগণ স্বসহায়কদলের প্রতিনিধিদের হাতে সেই ঋণ মঞ্জুরিপত্র ও গাড়ির চাবি তুলে দেন৷

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণ পতাকা নাড়িয়ে ২০টি গাড়ির যাত্রা শুরু করেন৷ এছাড়া রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে স্বসহায়ক দলের বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রীর স্টলও অতিথিগণ পরিদর্শন করেন৷

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?