এজন্য বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ রূপায়ণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার জন্য তিনি বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের প্রতি আহ্বান জানান৷ সঠিক সময়ের মধ্যে সুুবিধাভোগীদের কাছে যাতে বিভিন্ন ফল ও ফুলের চারা পৌঁছে যেতে পারে সেজন্যে ওই সমস্ত ফল ও ফুলের নার্সারী এখন থেকেই প্রস্তুত করার জন্যে উদ্যান ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ দপ্তরের আধিকারিকদের তিনি পরামর্শ দেন৷ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সম্পর্ণ করার উপর গুরুত্বারোপ করে উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত জায়গায় বিভিন্ন স্টিল বীজ মেরামত করার প্রয়োজন রয়েছে সেগুলিকে অবিলম্বে মেরামত করতে হবে৷ কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে কোন ভাবেই ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে রাজ্য সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে৷
উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নমূলক কাজ করার ক্ষেত্রে অর্থের কোন অভাব হবে না৷ প্রয়োজনে নাবার্ড থেকে ঋণ নিয়ে এ সমস্ত কাজ করতে হবে৷ তবে এই অর্থ যথাযথভাবে কাজ লাগাতে হবেই৷ আগামী অর্থবছরের জন্যে বিএসি অথবা পঞ্চায়েত সমিতি থেকে পরিকল্পনা করে এখনই বিভিন্ন প্রোজেক্ট তৈরি করে তা জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়ার জন্যে উপমুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন৷ পর্যালোচনা সভায় অংশ নিয়ে সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক বিশ্বশ্রী বি জানান, এমজিএন রেগার মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের এখন পর্যন্ত সমগ্র জেলায় ৪৮৩৯০১৯ শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়েছে৷
এরমধ্যে বিশালগড় ব্লকে ৮১১৩৭৭, ব’নগর ব্লকে ৫৪৬৬১৩, চড়িলাম ব্লকে ৬৪৫৭৩৩, জম্পইজলা ব্লকে ১০৭৩৭৯১, কাঁঠালিয়া ব্লকে ৬৮৩৭৪৭, মোহনভোগ ব্লকে ৩৬৯০৩৮ এবং নলছড় ব্লকে ৭০৮৭২০ শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়েছে৷ তিনি জানান, এমজিএন রেগার অর্থে বিশালগড় ব্লকের পূর্ব গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে জীবন জীবিকার মানোন্নয়নে দীর্ঘ মেয়াদী একটি বড় প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে৷ এতে মোট ব্যয় হবে ৪ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা৷ এছাড়াও একই প্রকল্পে ১৫টি নতুন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘর নির্মাণ করা হবে৷ এতে ব্যয় হবে ১ কোটি ২৭ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা৷ অন্যদিকে ৩০ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা ব্যয় করে ৩৫টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কিচেন গার্ডেন নির্মাণ করা হবে৷
তিনি জানান, পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের পক্ষ থেকে জেলায় চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২২টি গভীর নলকূপ বসানোর কাজ শেষ হয়েছে৷ জল জীবন মিশন প্রকল্পে এ পর্যন্ত ১১,৯৪৭টি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ জেলায় তাদের দপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন৷ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক, সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুুপ্রিয়া দাস (দত্ত), সহ সভাধিপতি পিন্টু আইচ, বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, বিধায়ক সুুভাষ চন্দ্র দাস, বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ব্লকের বিডিওগণ৷