অন্যদিকে সমালোচকদের যাবতীয় বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে ইয়েদুরাপ্পা বলেছেন, যারা অভিযোগ করছেন তাঁরা যেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেই তাঁর নামে নালিশ করেন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের কোনও বিধায়কের যদি আমার প্রতি ক্ষোভ থাকে তবে তিনি সেটা দিল্লি গিয়ে জাতীয় নেতাদের বলতেই পারেন। তাঁরা যে অভিযোগ তুলেছেন, সেই অভিযোগের সাপেক্ষে প্রমাণ পেশ করতে পারেন জাতীয় নেতাদের সামনে। তাতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। কিন্তু অভিযোগকারীরা যেন দলের বদনাম না করেন।
কর্নাটকের প্রবীণ বিজেপি নেতা বাসনাগৌড়া আর পাতিল অভিযোগ করেছেন, যারা একটি সিডি নিয়ে ইয়েদুরাপ্পাকে ব্ল্যাকমেল করেছেন বা বিপুল অর্থ দিয়েছেন কেবল তাদেরই মন্ত্রিসভায় জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। নতুন মন্ত্রীদের বেছে নেওয়ার সময় দলের প্রতি আনুগত্য, এলাকার কথা বিবেচনা করা হয়নি। যারা ওই সিডি দেখিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন, মন্ত্রী করা না হলে সরকার ফেলে দেবেন কেবল তাদেরই মন্ত্রী করা হয়েছে। বাসনাগৌড়া ছাড়াও দলের একাধিক বিধায়ক নতুন মন্ত্রীদের নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সদ্য কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন এমন নেতাদের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু যারা বিজেপির প্রবীণ নেতা তাঁরা কেউই মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি। বিজেপির এই অন্তর্কলহে ফয়দা লুটতে মাঠে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার বলেন, বিজেপি বিধায়করা যে সমস্ত অভিযোগ করছেন তা নিয়ে অবিলম্বে তদন্ত হওয়া উচিত। বিজেপি এখন ব্ল্যাকমেল জনতা পার্টি হয়েছে। বিরোধীরা নয়, বিজেপি নেতারাই অভিযোগ করছেন টাকা দিয়ে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই মিলছে।