অফিসে সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম কীভাবে সামাল দেবেন

অনলাইন ডেস্ক, ১৪ জানুয়ারি।। সপ্তাহের এক বা দুইদিন ছুটি ছাড়া বাকি দিনগুলো অফিসে কাটাতে হয়। সহকর্মীদের সঙ্গেই নিয়মিত উঠতে বসতে তাদের সঙ্গে তৈরি হয় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। অনেকের ক্ষেত্রে সেটি আরও এগিয়ে যায়, গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্কও।  অফিসের কাজের ফাঁকে প্রেমে মজে যাওয়াটা একেবারে অপরিচিত কোনো ঘটনা নয়। শুধু প্রেমই নয় সহকর্মীদের মধ্যে বিয়ের ঘটনাও ঘটে।

তবে অফিসে প্রেমে যেমন কিছু সুবিধাও আছে, তেমনি আছে অসুবিধাও। সুবিধা হলো, প্রতিদিনই প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা হবে আপনার, একসঙ্গে লাঞ্চ, অফিস ছুটির পরে টুকটাক ঘুরাঘুরি, শপিংয়ে যেতে পারবেন। আবার অসুবিধা হচ্ছে, অফিস কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে ভালোভাবে না-ও নিতে পারে, এ ছাড়া আপনার কাজেও প্রভাব ফেলতে পারে এই প্রেম। লাইফস্টাইল সাইট ফেমিনার এক প্রতিবেদন অবলম্বনে জেনে নিই, অফিসে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালে কীভাবে সামাল দেবেন।

প্রতিষ্ঠানের বিধিনিষেধ – অনেক সময় প্রতিষ্ঠানের নিয়মকানুনের মধ্যে স্পষ্টই বলা থাকে, অফিস রোমান্স গ্রহণযোগ্য কিনা। অনেক ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে কিছু বলা না থাকলেও পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, দুই সহকর্মীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক কর্তৃপক্ষ ভালো চোখে দেখে না। ফলে প্রথমেই অফিসের নিয়মকানুনগুলো জেনে নিন, এ ব্যাপারে পরামর্শ নিতে পারেন এইচআরের প্রতিনিধিদের কারও সঙ্গে। যদি কর্তৃপক্ষের আপত্তি থাকে, আবার আপনারাও প্রেম চালিয়ে যেতে চান তবে সেক্ষেত্রে দুইজনকেই অন্য চাকরি খুঁজতে হতে পারে।

অফিসের কাজে প্রভাব- অফিসে প্রেম করতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই দিনের বড় একটি সময় কাছাকাছি থাকা হয় দুইজনের। ফলে ব্যক্তিগত জীবন আর কাজের মধ্যে স্পষ্ট সীমারেখা টেনে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। একসঙ্গে কাজ করতে গেলে সাহচর্যের কারণে একটা প্রভাব কাজের উপর পড়তে বাধ্য।  যদি দেখেন আপনাদের দুই জনের কাজের গুণমান বেড়ে গিয়েছে, তা হলে চিন্তার কারণ নেই। অনেক সময় পারফরমেন্সে নেতিবাচক প্রভাবও পড়ে। প্রেমের কারণে যদি ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন না হয়, কাজে ক্রমাগত ভুল হয়, কাজে মন না বসে, তা হলে সংযত হতেই হবে দুইজনকে।

পেশাগত প্রতিযোগিতা- প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও একইসঙ্গে আপনারা দুইজন সহকর্মীও। ফলে পেশাগত দায়িত্বশীলতা গুরুত্বপূর্ণ এখানে। দুইজনের মধ্যে পেশাগত দ্বন্দ্ব উপস্থিত হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। প্রেমের শুরুতেই বিষয়টি নিয়ে পারস্পরিক আলোচনা করে নিতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে পড়লে কীভাবে সামাল দেবেন।

সহকর্মীদের কানাঘুষা- অফিসে প্রেমে জড়ালে অন্য সহকর্মীরা কানাঘুষা করবেই, এগুলো কোনোভাবেই বন্ধ করতে পারবেন না। সেসব কানে না নিয়েই আপনাদের এগোতে হবে। সেসব সমালোচনা আপনাদের সম্পর্কে কতটা প্রভাবিত করবে, সেটাই প্রশ্ন। আপনাদের নিয়ে সহকর্মীদের কৌতূহল কীভাবে নিবৃত্ত করবেন, সেটা নিয়েও ভাবতে হবে।

প্রেম ভেঙে গেলে- অফিসে প্রেমে জড়িয়ে সেটি আবার ভেঙেও যেতে পারে। এখন সেই ধাক্কা সামলে নিয়ে অফিস চালিয়ে যেতে পারবেন কী না। প্রেম ভেঙে গেলেও প্রতিদিন কিন্তু অফিসে প্রাক্তনের সঙ্গে দেখা হবে আপনার। বিষয়টিকে কীভাবে মোকাবিলা করবেন আপনি। সেক্ষেত্রে চাকরিও ছেড়ে দিতে হতে পারে। এ বিষয়টিও ভাবনায় রাখার অবকাশ আছে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?