বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পর কোন ধরনের সাড়া না পাওয়ায় শ্যামল দাসের স্ত্রীর মনে সন্দেহ দেখা দেয়। তিনি বিষয়টি পাড়া-প্রতিবেশীদের জানান।প্রতিবেশীরা এসে ও তাকে ডাকাডাকি করে, কোনো উত্তর মেলেনি। শেষপর্যন্ত খবর দেওয়া হয় আমতলী থানার পুলিশকে।খবর পেয়ে সকাল আটটা নাগাদ আমতলা থানার সাব-ইন্সপেক্টর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তারা লক্ষ্য করেন শ্যামল দাসের দেহ ফাঁসিতে ঝুলছে। ঘটনা প্রত্যক্ষ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শ্যামল দাসের স্ত্রী সহ স্থানীয় লোকজন।
পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।কেন ওই ব্যক্তি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে সে সম্পর্কে অবশ্য বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায়নি। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে পরিবারের তেমন কোনো ঝামেলা ছিল না। আমতলী থানার পুলিশ প্রাথমিকভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যু জনিত মামলা গ্রহণ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শ্যামল দাসের আত্মহত্যার সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার জনমনে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।