পড়ুয়ারা যাতে নিজেদের মতো করে অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যেতে পারে, তার জন্য স্মার্টফোন দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন সোনু সুদ। ইতিমধ্যেই সোনু ১০০ স্মার্টফোন দিয়েছেন বিভিন্ন জায়গার পড়ুয়াদের। এ বিষয়ে সোনু নিজের চেষ্টায় একটি নতুন প্ল্যাটফর্মও তৈরি করেছেন। স্মার্টফোনের অভাবে যাঁরা ক্লাস করতে পারছেন না, তাঁরা সেখানে আবেদন করলে স্মার্টফোন হাতে পাবেন বলে জানান সোনু সুদ।
সোনু জানান, লকডাউনের মধ্যে পাঞ্জাব, মুম্বই, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার বেশ কয়েকটি জায়গায় স্মার্টফোন বিলি করেছেন পড়ুয়াদের মধ্যে। লকাডাউনের প্রভাবে যাতে কারও পড়াশোনায় খামতি না পড়ে, তারজন্যই সোনু ওই ব্যবস্থা করছেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, কনকনে ঠান্ডার জেরে উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর এবং সোনভদ্রের প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের অবস্থা শোচনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রচন্ড শীতে সবচেয়ে বেশি কাবু হন বয়স্ক মানুষরা। সেইসব মানুষদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সোনু। সোনুকে ট্যাগ করে বিকাশ দীক্ষিত নামে এক ব্যক্তি ট্যুইট করে জানান, উত্তরপ্রদেশে মির্জাপুর এবং সোনভদ্র নামে দুটি এলাকা রয়েছে। ওইসব এলাকার প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছেন।
প্রত্যেক বছর শীতের সময় ওই এলাকার বয়স্কদের অবস্থা করুণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রতি বছর ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার জন্য ওই গ্রামগুলির বয়স্ক মানুষরা আশা করে থাকেন হয়তো কেউ তাঁদের সেই কনকনে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে পরিত্রাণ দেবে কিন্তু কোনওবারই তা হয় না। এবার সোনু তাঁদের শেষ আশা বলে ট্যুইট করেন বিকাশ।
উত্তরপ্রদেশের ওই ব্যক্তির টুইট চোখে পড়ার পরই তাঁর সঙ্গে কথা বলেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ। সোনু বলেন, এবার থেকে মির্জাপুর, সোনভদ্র সহ ওই ২০টি গ্রামের কোনও বয়স্ক মানুষকে আর ঠান্ডায় কাঁপতে হবে না। ওই ২টি গ্রামের বয়স্করাই শুধু নন, ওই দুই এলাকার কোনও মানুষকেই আর এবার থেকে শীতে কষ্ট পেতে হবে না বলে জানান সোনু সুদ।
প্রসঙ্গত, লকডাউন পর্বে পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় সোনুকে মসিহা-র তকমা দেওয়া হয়। সে সম্পর্কে এবার মুখ খোলেন সোনু। তিনি বলেন, তিনি কোনও মসিহা নন। তিনি শুধু অসহায় মানুষদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন বলে মন্তব্য করেন। পাশাপাশি তিনি যে কোনওভাবেই নিজের স্বার্থের জন্য অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন।