স্থানীয় সময় গত সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানায়, তারা জানতে পেরেছে যে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছে। পিয়ংইয়ংয়ে কিম ইল সাং স্কয়ারে স্থানীয় সময় রাতে এই কুচকাওয়াজ হবে। দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, তারা এই কুচকাওয়াজের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার এমন ঘোষণায় খেপে গেছেন কিমের বোন ও উপদেষ্টা কিম ইয়ো জং। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার আচরণকে কাণ্ডজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছেন।
উনের বোন কুচকাওয়াজের সময় নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা রাজধানীতে কেবল সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছি। কাউকে লক্ষ্যবস্তু করে কুচকাওয়াজ হচ্ছে না। অথবা সামরিক অনুশীলন হচ্ছে না। ’
বিবিসির দাবি, এই কুচকাওয়াজে নিজেদের শক্তির মহড়াও দেখাতে চায় উত্তর কোরিয়া। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও উত্তর কোরিয়া নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ও অস্ত্রভান্ডারের মহড়া করবে। ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে প্রথম সম্মেলন হয়। এরপর থেকেই কুচকাওয়াজে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেনি উত্তর কোরিয়া।
হ্যানয়তে গত ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে আলোচনা ভেস্তে যায়। এরপর থেকেই উত্তর কোরিয়া বেশ কিছু স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে।