অনলাইন ডেস্ক, ১৩ জানুয়ারি।। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এক নির্দেশে তিন কৃষি আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। একই সঙ্গে কৃষকদের মিছিল বের করার ব্যাপারে নোটিস জারি করে। কিন্তু কৃষকরা ট্রাক্টর মিছিল করার ব্যাপারে অনড়। ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিল হবেই বলে কৃষকদের দাবি। কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটি ইতিমধ্যেই ২০ জানুয়ারির মধ্যে পঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গা থেকে যত বেশি সংখ্যক ট্রাক্টর দিল্লিতে পাঠানোর কথা বলেছে।
কৃষক ইউনিয়নগুলি হুমকি দিয়েছে, যারা ট্রাক্টর পাঠাতে পারবে না তাদের জরিমানা দিতে হবে। না হলে তারা সামাজিক বয়কটের মুখে পড়বেন। পঞ্জাবের বিভিন্ন গুরুদুয়ারা থেকে ঘোষণা করা হচ্ছে, আমরা যদি এখনই না যাই তবে আর কখনও সুযোগ পাব না।
অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের লড়াই করতেই হবে। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত তিন কৃষি আইনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার পাশাপাশি উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কিন্তু কৃষক সংগঠনগুলি কমিটির মতামত মানতে নারাজ।
কৃষক সংগঠনের দাবি, কমিটি সদস্যরা অতীতেও আইনের পক্ষে মত দিয়েছেন। তাই তাদের কথা মানা হবে না। ২৬ জানুয়ারি যথারীতি দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিল করা হবে। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে এক আবেদনে জানানো হয়, মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের মহড়া ২৩ জানুয়ারি। ২৮ জানুয়ারি শহরে শোভাযাত্রা করবে ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর। ২৯ জানুয়ারির রয়েছে বিটিং দ্য রিট্রিট। ৩০ জানুয়ারি অন্যান্য বছরের মতই পালিত হবে শহিদ দিবস। এই অনুষ্ঠানগুলিতে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য আপাতত মিছিলের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হোক।
সরকারের দাবির প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি কোনও নির্দেশ না দিলেও কৃষক সংগঠনগুলিকে ট্রাক্টর মিছিলের ব্যাপারে নোটিস পাঠায়। একই সঙ্গে দেশের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে বলেন, তিন বিতর্কিত আইনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরেও আন্দোলন চলতেই পারে।
কিন্তু আন্দোলনকারীদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা এখন যে সড়কের উপর অবস্থান করছেন সেখানে থাকবেন নাকি অন্য জায়গায় সরে যাবেন। কারণ সাধারণ মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন কোনও আন্দোলন চলতে পারে না।