স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৩ জানুয়ারি।। বার্ড ফ্লু-র আতঙ্কে কার্যত মাছি তাড়াচ্ছেন মুরগির মাংস বিক্রেতা। মাংসের বিক্রি বাড়াতে দাম কমের বোর্ডও টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও ব্যবসা জমেনি। এদিকে মুরগি মাংসের দোকান যত ফাঁকা হয়েছে, ততই লম্বা লাইন পড়েছে খাসি মাংসের দোকানে।
করোনাভাইরাসজনিত আতঙ্কের মাঝে এবার ছড়িয়েছে বার্ড ফ্লু বা অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা। এখনও পর্যন্ত দেশের দশ রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে পাখির এই মারণ রোগ। রান্না করা পোলট্রি পণ্যের মাধ্যমে মানুষের শরীরে বার্ড ফ্লু-র সংক্রমণ মানুষের শরীরে ঘটতে পারে বলে অধিকাংশই মুরগি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। আর আতঙ্কের মাঝেই চিকেনের বিক্রি ইতিমধ্যে কমে গিয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। আর উল্টোদিকে মাটনের বিক্রি বাড়ার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দামও।
উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহরের বিভিন্ন বাজারে একধাক্কায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ দাম বেড়ে গিয়েছে মাটনের। এই মুহূর্তে কলকাতায় পাঁঠার মাংসের কেজি প্রতি দাম ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকা। শহরতলিতে দাম ঘোরাফেরা করছে কেজিপ্রতি ৬৫০ টাকার কাছাকাছি।
ক্রেতাদের কথায়, ডিসেম্বরের শেষ দিকে বড়দিনের ছুটি বা নববর্ষের সময় খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ৬৩০-৬৫০ টাকায়। বার্ড ফ্লু আতঙ্ক দেশজুড়ে গ্রাস করা করতেই এক লাফে অনেকটা দাম বেড়েছে মাটনের। ক্রেতাদের বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে যদিও এখনও বার্ড ফ্লু-র কোনও ঘটনা ধরা পড়েনি, কিন্তু সাবধান থাকতে ক্ষতি কী!