অনলাইন ডেস্ক, ১২ জানুয়ারি।। দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান। আগামী শনিবার দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া। প্রথম পর্যায়ে ৩ কোটি কোভিড যোদ্ধার টিকার খরচ বহন করবে কেন্দ্র। দেশজুড়ে টিকা বন্টনের কাজও শুরু হয়ে গেল মঙ্গলবার কাকভোর থেকেই। এদিন ভোর ৫ নাগাদ সিরাম থেকে টিকা রওনা হওয়ার আগে বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে সেরে নেওয়া হল ‘মঙ্গলাচরণ’। নারকেল ফাটিয়ে টিকার গাড়ি রওনা করা হয়।
আজই দেশের ১৩টি শহরে পৌঁছচ্ছে সিরামের করোনা ভ্যাকসিন। এর মধ্যে রয়েছে, মুম্বই, কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই, কারনাল, আমদাবাদ, চণ্ডীগড়, লখনউ, ব্যাঙ্গলোর, হায়দরাবাদ, বিজয়ওয়াদা, ভুবনেশ্বর ও গুয়াহাটি। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড নিয়ে পুণে থেকে প্রথম বিমানটি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয়।
কোল্ড চেন সংস্থার অত্যাধুনিক ট্রাকে মাইনাস ২৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন সংরক্ষিত করে পৌঁছে দেওয়া হয় বিমানবন্দরে। প্রথম পর্যায়ে ১১ লক্ষ ভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে কেন্দ্র। প্রতিটি ডোজের দাম ধার্য হয়েছে ২০০ টাকা। সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, সরকারের কাছে থেকে টিকা পিছু মাত্র ২০০ টাকার দাম নিচ্ছে সিরাম।
এখন পর্যন্ত যা ঠিক আছে, তাতে এপ্রিল মাসের মধ্যে সিরাম সাড়ে ৪ কোটি করোনার ডোজ তৈরি করবে। জরুরি ভিত্তিতে সেই টিকা দেওয়া হবে করোনার প্রথম সারির যোদ্ধাদের। সোমবার সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
মোদি জানিয়েছেন, যাঁরা দেশবাসীর স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন, তাঁদের প্রথমে টিকা দেওয়া হবে, সাফাই কর্মী, সৈনিক, পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স – তাঁদের প্রথম দফায় টিকা দেওয়া হবে, ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে এবং ৫০ বছরের কম বয়সী অথচ সংক্রমণের আশঙ্কা প্রবল, দ্বিতীয় পর্যায়ে তাঁদের টিকা দেওয়া হবে।