পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতবছর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মঘাতী হয় চম্পার আপন দাদা। বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকেই মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে সে। বাড়িতে অসুস্থ বাবা, বয়স্কা মা এবং এক বিবাহিতা বোনকে নিয়েই থাকতো সে।
আরো জানা যায়, ভাইয়ের মৃত্যুর পর শোকে কারোর সাথেই ঠিকভাবে কথা বলতো না যুবতী মেয়েটি। প্রায় সময় নাকি বলতো স্বপ্নে এসে দাদা তাকে ডাকছে। এই অবস্থায় সোমবার সকালে বাড়ির সকলেই যার যার কাজে বেরিয়ে যায়।
তখনই নির্জনতার সুযোগ নিয়ে চম্পা তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। তার চিৎকারে পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে এলেও ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় সে। পরে এই খবর পেয়ে কমলপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তের পর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়।
এর পাশাপাশি পুরো ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।