আদতে বিহারের সীতামারী জেলার উজলা গ্রামের বাসিন্দা। ইরফানের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি, ছিনতাই এবং লুঠের মামলা ঝু্লছে । আইনের চোখে অপরাধী হলেও উজলা গ্রামের মানুষের কাছে ইরফান কার্যত ভগবান। ইরফান এলাকায় ‘রবিনহুড উজলা’ নামে পরিচিত।
ইরফানের ‘শখ’ ছিল বিত্তবান ব্যক্তিদের টাকা চুরি করে সেই টাকায় দামি গাড়ি কেনা এবং গরিব মানুষকে সাহায্য করা। গরিবদের চিকিৎসার জন্য নিয়মিত টাকা দিত ইরফান। এভাবেই ইরফান গরিবদের ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছিল।তার কাজের পরিধি বিহারের গণ্ডি ছাড়িয়ে দিল্লি, পঞ্জাব এবং দেশের অন্য প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই ইরফানের খোঁজ চালাচ্ছিল বিহার পুলিশ।
শেষ পর্যন্ত গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৭ জানুয়ারি দিল্লির নারাইনা ফ্লাইওভারের কাছাকাছি এলাকায় ভোর পৌনে চারটে নাগাদ ২ সঙ্গী-সহ ইরফানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় ইরফান স্বীকার করেছে, বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য বিত্তবান এলাকায় অপারেশন চালাত সে। টাকা-গয়না চুরি করে তা দিয়ে দামি গাড়ি কেনাই ছিল তার শখ। ইরফানের রয়েছে নিসান তিয়ানা, জাগুয়ার, এবং স্করপিও-র মতো দামি গাড়ি।
দেশ জুড়ে তাঁর নেটওয়ার্ক ছড়ানো রয়েছে বলে জেরায় স্বীকার করেছে ইরফান। চুরির উদ্দেশ্যেই সম্প্রতি সে দিল্লিতে এসেছিল। নারাইনা ফ্লাইওভারের কাছে একটি বিত্তবান এলাকায় চুরি করতে গিয়েই শেষ পর্যন্ত পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়ল ‘রবিনহুড উজলা’ ইরফান।