আর কেন্দ্রীয় সরকার সেটি যদি না করে, তাহলে সেই পদক্ষেপ করবে আদালতই। এদিন শুনানির সময় বিচারপতি জানান, ‘কৃষি আইন আপাতত কার্যকর করবেন না, আইন কার্যকর করা থেকে বিরত না হলে, আমরা তা করব’।
শুনানি চলাকালীন দেশের সর্বোচ্চ আদালত উষ্মা প্রকাশ করে বলে, শীতের মধ্যে দিনের পর দিন দিল্লির রাজপথে বৃদ্ধ মানুষেরা বসে আছেন, মহিলারা আছে, তাহলে কেন সরকার এই পরিস্থিতি দেখেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না?
কৃষকদের পাশে থেকে এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ‘আন্দোলন যথার্থ, রাস্তা বন্ধ করে করবেন না। আমরা কমিটি তৈরি করছি। সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত আইন কার্যকর করবেন না।’ সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘আন্দোলন করতে গিয়ে লোক মারা পড়ছে, এর জন্য কমিটি গড়া উচিত।’
দিল্লির বিভিন্ন সীমান্ত আটকে কৃষকদের বিক্ষোভের বিষয়টি গত মাসে উঠেছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। তখন শীর্ষ আদালত বলেছিল, শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে কৃষকদের। ইতিমধ্যেই কৃষক আইন সংক্রান্ত আন্দোলন মেটাতে ৮ বার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্র।
কৃষকদের দাবি, আইন প্রত্যাহার করতেই হবে। যদিও তা মানতে নারাজ কেন্দ্র। এদিকে কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে দিল্লির অন্যান্য সীমানাগুলি বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা।